অনলাইন ডেস্ক, ১৮ ডিসেম্বর।। গোলাপি বলে দিনরাতের টেস্টের দ্বিতীয় দিনে তিনিই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। ৫৫ রানে ৪ উইকেট নিয়ে তিনিই অস্ট্রেলিয়াকে চাপে ফেলে দিয়েছেন। অফস্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন জানালেন, দশ মাস পরে দেশের হয়ে টেস্ট খেলতে নেমে তাঁর মনে হচ্ছিল যেন অভিষেক ম্যাচ খেলতে নেমেছেন।শুক্রবার ভার্চুয়াল সাংবাদিক বৈঠকে অশ্বিন বলেছেন, “টেস্ট ক্রিকেটে আবার ফিরতে পেরে দারুণ আনন্দ হচ্ছে। করোনা অতিমারির কারণে পরিস্থিতি যা দাঁড়িয়েছিল তাতে ভাবতেও পারিনি আবার টেস্ট ম্যাচে খেলতে পারব। তবে ব্যক্তিগত স্তরে অনুশীলনে কোনও খামতি ছিল না।
লকডাউনে নিজেকে ফিট রাখতে অনেক কিছু করেছি। নিজেকে এমনভাবে তরতাজা রেখেছিলাম যাতে মাঠে নেমে কোনও ধরনের সমস্যা না হয়। তার উপরে অস্ট্রেলিয়ায় গোলাপি বলে টেস্ট খেলার অন্য একটা চ্যালেঞ্জ ছিল।” দুর্দান্ত ফর্মে থাকা স্টিভ স্মিথের উইকেট নিয়ে তিনিই ভারতীয় দলকে লড়াইয়ে ফিরিয়ে আনেন। যা নিয়ে অশ্বিন বলেছেন, “ব্যাপারটা আমার কাছেও খুব বিস্ময়ের। প্রথমত এত দিন পরে টেস্ট ম্যাচ খেলতে নেমে মনে হচ্ছিল যেন অভিষেক হতে চলেছে আমার। তার উপরে স্মিথের উইকেটটা নিঃসন্দেহে বড় প্রাপ্তি। ও যে ভাবে ব্যাটিং করে, তাতে ওকে উইকেটে থাকতে দেওয়া যে কোনও দলের কাছেই বিপজ্জনক। ওকে ফেরাতে পেরে খুব আনন্দ হয়েছে।
” তবে নেথান লায়নের সঙ্গে কোনও তুলনা টানতে রাজি নন অশ্বিন। তিনি বলেছেন, “আমি মনে করি, প্রত্যেক স্পিনার তার নিজের ভাবনা থেকে বোলিং করে থাকে। হয়তো কোনও সময়ে তুলনার প্রশ্নটা চলেই আসে, কিন্তু আমার বোলিং দর্শনের সঙ্গে লায়নের বোলিংয়ের ভাবনার কোনও মিলই নেই। আমরা নিজেদের মতো বোলিং করে সাফল্য পেয়েছি এবং সেটাই ধরে রাখার চেষ্টা করি।” যোগ করেছেন, “আমি অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যানদের মানসিকতা লক্ষ্য করে বোলিংয়ে পরিবর্তন এনেছি। একদিক থেকে যখন পেসাররা বোলিং করে, তখন স্পিনার হিসেবে নিজের কাজও বুঝে ফেলতে হয় । আমি সেটাই করেছি। আমাকেও এমনভাবে বোলিং করতে হয়েছে যাতে উইকেট থেকে সুবিধা আদায় করে নিতে পারি। সেই লক্ষ্যে আমি আজ সফল।”