অনলাইন ডেস্ক, ১৮ ডিসেম্বর।। কৃমির কারণে অনেক শিশু অসুস্থ হয়ে পড়ে। কিন্তু শিশু তা বলতে ও বোঝাতে পারে না। এক্ষেত্রে অভিভাবকদের বুঝতে হবে শিশু কৃমিতে আক্রান্ত কি না। কৃমি এক ধরনের পরজীবী, যা ক্ষুদ্রান্ত্রে থাকে এবং সেখান থেকে খাদ্য গ্রহণ করে বেঁচে থাকে। সাধারণত টেপ ওয়ার্ম, রাউন্ড ওয়ার্ম, হুক ওয়ার্ম ও পিন ওয়ার্ম বা থ্রেড ওয়ার্ম থেকে ইনফেকশন হয়।
কৃমিতে আক্রান্ত্র হওয়ার লক্ষণ- বমিভাব ও বমি, খিদে না পাওয়া অথবা বারবার খেয়েও খিদে পাওয়া, ওজন কমা, জন্ডিস, পায়ুছিদ্রের কাছে চুলকানির সৃষ্টি করে। ফলে বাচ্চারা ঘুমাতে পারে না, প্রস্রাবে জ্বালা ও যন্ত্রণা হতে পারে।
কীভাবে কচি দেহে ঢোকে কৃমি? কৃমি ও তার ডিমগুলো বাইরের পরিবেশে দুইসপ্তাহ পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে। বাচ্চারা যখন মাঠে খেলে তখন তাদের হাতের মাধ্যমে শরীরে ঢোকে। পায়ুছিদ্রের চুলকানির ফলে শিশুর হাতে, নখে কৃমির ডিম লেগে তা পুনরায় শরীরে প্রবেশ করে। যিনি বাচ্চাকে খাওয়ান তার হাত থেকেও সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে। শাকসবজি, ফল ঠিকমতো না ধুয়ে খেলে তা থেকেও কৃমি হতে পারে। শিশু কৃমিতে আক্রান্ত হলে অবশ্যই কোনও ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ও বাচ্চার লক্ষণ অনুযায়ী সঠিক ডোজের ওষুধ খাওয়ানো উচিত।