অনলাইন ডেস্ক, ১৮ ডিসেম্বর।। বিতর্কিত তিন কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে তুমুল বিক্ষোভ দেখাচ্ছে কৃষকরা। কৃষকদের এই আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে ধর্নায় বসার হুমকি দিলেন নরেন্দ্র মোদি সরকারের প্রাক্তন কৃষিমন্ত্রী চৌধুরী বীরেন্দ্র সিং। বর্তমানে বীরেন্দ্র সিং বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ। তার এই হুমকিতে যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়েছে মোদি সরকার।অন্যদিকে কৃষকদের সমস্যা সমাধান করতে তাদের সঙ্গে ফের একবার আলোচনায় বসার কথা জানালেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর। শুক্রবার কৃষিমন্ত্রী কৃষকদের ৮ পাতার একটি চিঠি দেন।
ওই চিঠিতে তোমর আশা প্রকাশ করেছেন, আশা করি চলতি বছরের মধ্যেই কৃষক সমস্যার স্থায়ী সমাধান হবে। একই সঙ্গে তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, নতুন আইনে কৃষকরা নিশ্চিতভাবেই উপকৃত হবেন। ন্যূনতম সহায়ক মূল্য এবং মান্ডি ব্যবস্থা আগের মতই থাকবে। কৃষকদের ভুল ভাঙাতে এ বিষয়ে সরকার লিখিত আশ্বাস দিতেও প্রস্তুত আছে। কৃষিমন্ত্রী অভিযোগ করেন, কিছু লোক মোদি সরকারের বিরুদ্ধে কুৎসা করতেই চাষীদের এটা বুঝিয়েছি যে, নতুন আইন চালু হলে নূন্যতম সহায়ক মূল্য থাকবে না। তুলে দেওয়া হবে মান্ডি। কিন্তু আমি স্পষ্ট জানিয়ে দিচ্ছি, আগের মতোই এই দুই ব্যবস্থাই বহাল থাকবে।
প্রয়োজনে কেন্দ্র কৃষকদের এ বিষয়ে লিখিত প্রতিশ্রুতি দিতে তৈরি আছে। কিছু রাজনৈতিক দল এবং কয়েকটি কৃষক সংগঠন কৃষকদের এভাবেই ভুল বোঝাচ্ছে বলে তোমর অভিযোগ করেন। অন্যদিকে দলের নেতা তথা প্রাক্তন কৃষিমন্ত্রীর এই হুমকিতে যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়ে সরকার। সূত্রে খবর বিষয়টি জানার পরেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ চৌধুরীকে অনুরোধ করেন তিনি যেন ধর্নায় না বসেন।অন্যদিকে বীরেন্দ্র সিং শুক্রবার সন্ধ্যায় বলেন, কৃষকদের নিয়ে কথা বলাই আমার ধর্ম। আমার কাছে দল ও রাজনীতির থেকেও কৃষকরা অনেক বড়।
কৃষকদের হয়ে কথা বলা মানে কখনওই সরকারের বিরোধিতা করা নয়। কৃষকরাই মানুষের মুখে অন্ন জোগান। দেশের লাখ লাখ কৃষক পথে নেমেছেন। গোটা দেশের মানুষের উচিত তাদের পাশে থাকা। কৃষকদের এই আন্দোলনের পাশে থাকতে পারলে আমি নিজেকে ধন্য মনে করব। সূত্রের খবর, কেন্দ্রের বিভিন্ন কার্যকলাপে হরিয়ানার এই বিজেপি সাংসদ চরম অসন্তুষ্ট। সে কারণে তিনি বিজেপি ছেড়ে নতুন কোনও দল বা সংগঠন করতে পারেন বলেও খবর। যদিও বীরেন্দ্র সিং এ দিন সেই জল্পনায় জল ঢেলে দিয়েছেন।