অনলাইন ডেস্ক, ১৮ ডিসেম্বর।। সুখের সংজ্ঞা একেক জনের কাছে একেক রকম। কেউ অল্পেতেই সুখী, কেউ আবার প্রত্যাশিত জীবন পেয়েও নিজেকে অসুখী মনে করে। আর এই মনোভাবে পণ্ড হয় অনেক কাজ। তাদের জন্য সুখবর দিয়েছেন যুক্তরাজ্যভিত্তিক ইউনিভার্সিটি অব সেন্ট্রাল ল্যাঙ্কশায়ারের প্রভাষক স্যান্ডি মান।
সম্প্রতি মনের স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায় বাতলে দিয়েছেন তিনি। স্যান্ডি মান বলছেন, সুখ বাড়াতে অনুসরণ করতে হবে ছয়টি পদক্ষেপ। তার বিশ্বাস- এসব পদক্ষেপ নিলে এক কাপ কফি পানে যে সময় লাগে তার চেয়ে কম সময়ে সুখ বাড়ানো সম্ভব।
নতুন, পুরনো অভিজ্ঞতা- জীবনে চলার পথে ভালো-মন্দ অনেক অভিজ্ঞতা হয়। কিছু অভিজ্ঞতা পুরনো হলেও মনে হলেই এক ধরনের সুখানুভূতি হয়। মন খারাপের সময় এমন কিছু মুর্হূতের কথা ভাবুন। তাহলেই ভালো হয়ে যাবে মন।
প্রশংসা ও প্রতিক্রিয়া- প্রশংসা শুনতে কার না ভালো লাগে। নিজের সম্পর্কে একটু ভালো কথা শুনলেও ভালো হয়ে যায় মন। মেজাজ খারাপ থাকলে মানুষের প্রশংসাসূচক কথাগুলো মনে করুন। দেখবেন নিমেষেই ভালো হয়ে গেছে মন। আপনার কোনো কাজের প্রতিক্রিয়ায় আনন্দিত হয়েছেন অপরিচিত কেউ। সেই ক্ষণটির কথা ভাবুন, মন খারাপ উধাও হয়ে যাবে।
ভাগ্য সুপ্রসন্ন হওয়ার মুহূর্ত- ক্যারিয়ার হোক বা সম্পর্ক- অনেক সময় বন্ধুর পথ পাড়ি দিতে হয় আমাদের। অনেক কিছুই নিজের আয়ত্বে থাকে না। সে সময় বিষয়গুলো ছেড়ে দিতে হয় ভাগ্যের হাতে। এরপর যখন মনোবাসনা সহজেই পূরণ হয়ে যায়, মনে হয় ভাগ্যদেবী প্রসন্ন ছিলেন, তাই সম্ভব হয়েছে। এই মনোবাসনা পূরণের মুহূর্তগুলো মনে করলেও ভালো হয়ে যেতে পারে মন।
নিজের অর্জন- কোনো কারণে মন খারাপ হলে নিজের অর্জনগুলো নিয়ে ভাবুন। কারণ, অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে অনেক কাজেই সফল হয়েছেন। এই অর্জনের ঝুলিটায় নজর দিন মন খারাপের সময়ে। খুব সহজেই ভালো হয়ে যাবে মন।
কৃতজ্ঞতাবোধ- মানুষের জীবনে চাওয়া-পাওয়ার যেন শেষ নেই। প্রত্যাশিত কোনো কিছু না পেলে মন খারাপ হয়। কিন্তু এ নিয়ে মন খারাপ করা উচিত নয়। ভাবুন কঠিন সময়ের পর সফলতার ঘটনাগুলো। এতে পাবেন নতুন উদ্যম।
উদারতা- রাগ, অভিমান, দুঃখ, ঘৃণা- সব ভুলে যান। কেউ কষ্টের কারণ হলে তাকে ক্ষমা করে দিন। শান্তি পাবেন।