স্টাফ রিপোর্টার, সোনামুড়া, ১৮ ডিসেম্বর।। গাঁজা গাছ কাটতে গিয়ে পুলিশ ও উত্তেজিত জনতার সংঘর্ষ। পুলিশকে লক্ষ্য করে উত্তেজিত জনতার ইট-পাটকেল ও বোমা নিক্ষেপ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ এর পক্ষ থেকেও কাদানি গ্যাস নিক্ষেপ। তাছাড়া স্টান গ্রেনেডও নিক্ষেপ করে পুলিশ। ঘটনা সোনামুড়া থানাধীন কমলনগর, ঘাঁটিঘর,বিজয় নগরের মাঝামাঝি এই ৩ টি এলাকায়। ঘটনার বিবরণে জানা যায় শুক্রবার সকাল ১০ ঘটিকার সময় কমলনগর গাটিগড় এলাকায় পুলিশ ও বিএসএফ, টি এস আর, নারকেটিস, বক্সনগর বনদপ্তর যৌথ অভিযান চালিয়ে প্রচুর গাঁজা গাছ ধ্বংস করা হয়।
একসময় পুলিশ ঘাঁটিগড় এলাকার গাঁজা গাছ ধ্বংস করতে করতে যখন বিজয় নগর এলাকায় গাঁজা গাছ ধ্বংস করতে যায়। তখন গাজা চাষীরা উত্তেজিত হয়ে যায়। বিজয়নগর ও ঘাটিগর এলাকার মাঝখানে ছিল বিজয় নদী নামে একটি ছড়া। বিজয় নদীর ছড়ার ওপারে ছিল প্রচুর গাঁজা গাছ। যা বিজয় নগর এলাকার উপজাতি জনজাতিরা এই এলাকায় গাঁজা চাষ করে থাকেন। পুলিশ ঘাঁটিগড় এলাকার গাঁজা ধ্বংস করার পর যখন বিজয় নগর এলাকার গাঁজা গাছ কাটতে নদী পার হয়ে ওই পারে যাবে আর তখনই উত্তেজিত জনতা পুলিশকে লক্ষ্য করে অজস্র ভাষায় গালাগালি, চিৎকার করতে থাকে।
ইট-পাটকেল ও গোলাল ছুঁড়তে শুরু করে। একসময় গাঁজা চাষিরা বোমাও নিক্ষেপ করেন। পরবর্তী সময়ে উত্তেজিত জনতার এই ঘটনার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ছয়টি কাদানি গ্যাস তাদের উদ্দেশ্যে গ্রামে নিক্ষেপ করেন। এই কাদানি গ্যাসের বিকট শব্দে পুরো এলাকা স্তব্ধ হয়ে যায়। তবু পুলিশ হাল ছাড়েনি। যখন ঘটনার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। তারপরেও প্রায় ২০০০০ গাঁজা গাছ ধ্বংস করে পুলিশ। জানা যায় এদিনের অভিযানে মোট ২০ প্লট এ প্রায় ১ লক্ষ ২০ হাজার গাঁজা গাছ ধ্বংস করা হয়। যার বাজারজাত মূল্য কয়েক লক্ষাধিক টাকা। এদিনের অভিযানে ছিলেন সোনামুড়া মহকুমা পুলিশ আধিকারিক বনোজ বিপ্লব দাস, সোনামুড়া থানার ওসি, ৭ ব্যাটেলিয়ান টিএসআর জওয়ান, ৭৪ নং ব্যাটালিয়ানের বিএসএফ, নারকটিকস এর এসপি সরস্বতী আর।
তাছাড়া বক্সনগর বন দফতরের কর্মীরা। এ দিনের যৌথ অভিযানে ১০০ থেকে ১২০ জন বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিক ও জওয়ানরা ছিলেন। এই বছরের সবচেয়ে ভয়ানক গাঁজা অভিযান হয় শুক্রবার। তাছাড়া দেখা যায় গাঁজার গাছ ধ্বংস করার সাথেসাথে উত্তেজিত জনতা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। তবে উত্তেজিত জনতা যেভাবে পুলিশকে আক্রমণ চালাচ্ছিল পুলিশের দুঃসাহসিকতা বিশেষভাবে লক্ষ্য করা গেছে। বিশেষ করে সোনামুড়া মহাকুমা পুলিশ কর্তৃক এই ঘটনার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিশেষ ভূমিকা পালন করতে দেখা যায়। তবে তিনি জানান এই ধরনের অভিযান আগামী দিনেও জারি থাকবে।