অনলাইন ডেস্ক, ১৭ ডিসেম্বর।। ১৮০ বল খেলে ৭৪ রান। গোলাপি বলে দিনরাতের টেস্টে তিনিই অস্ট্রেলিয়া দলের চিন্তা বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু বিরাট কোহলির রান আউট দিনের শেষে তাঁর দলের পক্ষে বড় অস্বস্তি তৈরি করে দিল। প্রথম দিনের শেষে ভারতের প্রথম ইনিংসে স্কোর ২৩৩-৬। ঘটনা হল, কোহলি দেশে ফেরার পরে যাঁর উপরে ভারতীয় দলের নেতৃত্ব বর্তাতে চলেছে, সেই অজিঙ্ক রাহানের ডাকে সাড়া দিয়ে রান নিতে গিয়েই ফিরতে হল বিরাটকে। অনেকেই মনে করছেন, কোহলির আউটই ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট হয়ে দাঁড়াল। ১৮৮-৩ থেকে রাতারাতি স্কোর দাঁড়াল ২৩৩-৬।
যার মধ্যে রাহানে ফিরলেন ৪২ রান করে। প্রস্তুতি ম্যাচে সেঞ্চুরি করা হনুমা বিহারী করলেন ১৬ রান। দিনের শেষে যা নিয়ে অস্ট্রেলীয় স্পিনার নেথান লায়ন জানিয়ে দেন, কোহলির ফেরাই তাঁদের আবার লড়াইয়ে ফিরিয়ে আনার পথ তৈরি করে দেয়। তিনি বলেছেন, “বিরাট তো দারুণ ব্যাটিং করছিল। আমরা বেশ চাপেই ছিলাম। ও ফেরার পরেই ম্যাচের চেহারা পাল্টে যায়। আমি বলব, এটাই দিনের সেরা প্রাপ্তি।”আসলে টসে জিতে কোহলি আগে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ভুল কিছু করেননি। কিন্তু বাধ সাধল দিনের দ্বিতীয় বলেই পৃথ্বী শ ফিরে যাওয়ায়।
রোহিত শর্মা না থাকায় ওপেনিং নিয়ে শুরু থেকেই সমস্যায় ছিল ভারতীয় দল। শুভমন গিলকেও ওপেনার হিসেবে খেলানো যায় কি না, তা নিয়েও আলোচনা হয়েছিল। কিন্তু বিরাট ভরসা রেখেছিলেন পৃথ্বীর উপরে। আইপিএলেও খুব ভাল ফর্মে না থাকা পৃথ্বী যে আখেরে কোনও উন্নতিই করে উঠতে পারেননি, সেটা পরিষ্কার হয়ে গেল।সেই জায়গা থেকে দলকে লড়াইয়ে ফেরান কোহলি এবং গত সিরিজে দারুণ ফর্মে থাকা চেতেশ্বর পুজারা। তিনি ১৬০ বল খেলে ৪৩ রান করলেও সেই সময় ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা অস্ট্রেলীয় বোলারদের থামিয়ে দিতে বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন।
যা নিয়ে দিনের শেষে তিনি জানিয়েছেন, তাঁদের সেই পরিকল্পনা একদম সঠিক ছিল। এবং পুজারার দাবি রানটা ৩৫০ মতো হলে অস্ট্রেলিয়াকেও চাপে পড়তে হবে। কিন্তু উইকেটে দিনের শেষে অপরাজিত রয়েছেন ঋদ্ধিমান সাহা এবং আর অশ্বিন। তাঁরা দলকে সেই জায়গা পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারবেন কি না, তার উপরেই নির্ভর করছে অনেক কিছু।