স্টাফ রিপোর্টার, তেলিয়ামুড়া, ১৭ ডিসেম্বর।। তেলিয়ামুড়া মহকুমার বিভিন্ন স্থানে বাম সরকারের আমলে বিনোদনের কথা চিন্তা করে পার্ক নির্মাণ করা হয়েছিল, রাজ্যের রাজ কোষাগারের অর্থ ব্যয় করে। কিন্তু এই পার্ক গুলি কতটা কাজে আসছে? তারই নজির তেলিয়ামুড়া আরডি ব্লকের অধীন মধ্য কৃষ্ণপুর স্থিত অফিস থেকে এলাকার ইকো পার্কটি। তৎকালীন মন্ত্রী তথা বর্তমানে প্রয়াত মন্ত্রী খগেন্দ্র জমাতিয়ার হাত ধরে ১৪ ই সেপ্টেম্বর ২০১১ ইং সালে তেলিয়ামুড়া আর ডি ব্লকের অধীনে মধ্য কৃষ্ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন অফিস টিলা এলাকার ছোট কচি কাঁচা ছেলে মেয়েদের কথা মাথায় রেখে বহু টাকা ব্যয় করে নির্মাণ করা হয়েছিল একটি ইকোপার্ক।
যা কিনা বর্তমানে নেশাখোরদের আস্তানায় পরিণত হয়েছে। এবং রাতের অন্ধকারে এই পার্কে বিভিন্ন অসামাজিক কাজকর্মে লিপ্ত হয় একাংশ যুবক-যুবতী বলে অভিযোগ এলাকাবাসী সূত্রে। এলাকাবাসীর অভিযোগ করে বলেন, বর্তমানে যুবসমাজ নেশায় আসক্ত হয়ে রসাতলে যাচ্ছে। আর এই মধ্য কৃষ্ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন অফিস টিলা এলাকায় এই ইকো পার্কের মধ্যে বিভিন্ন এলাকা থেকে যুবক-যুবতীরা এসে অসামাজিক কাজে লিপ্ত হচ্ছে। ফলে এলাকার যুব সমাজ উচ্ছন্নে যাচ্ছে। তবে সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনে কেউ মুখ খুলতে নারাজ।
যদিও এক এলাকাবাসী আমাদের প্রতিনিধি কে জানায় লোকজন আসে,এলাকার কচিকাঁচারা ও এই পার্কে খেলাধুলা করতে যায়। তবে আমাদের ক্যামেরায় যে চিত্র উঠে এলো তাতে শুভবুদ্ধি সম্পন্ন জনগণ মনে করছেন না যে পার্কের পরিবেশটা কচি-কাঁচাদের খেলাধুলা করার জন্য উপযুক্ত স্থান। তবে প্রয়াত মন্ত্রী খগেন্দ্র জমাতিয়া যে উদ্দেশ্য নিয়ে এই পার্কটি নির্মাণ করেছিলেন সেই উদ্দেশ্য যে বর্তমানে সফল নয় তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।