অনলাইন ডেস্ক, ১৭ ডিসেম্বর।। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস করলে সেটা কখনওই সব সময় ধর্ষণ বলে গণ্য হতে পারে না। কোনও মহিলা যদি স্বেচ্ছায় দিনের পর দিন কারও সঙ্গে সহবাস করেন, তারপর যদি সেই পুরুষটি বিয়ের প্রতিশ্রুতি না রাখেন তাহলে সেই ঘটনাকে কখনওই ধর্ষণ বলে গণ্য করা হবে না। বৃহস্পতিবার এক মামলার রায় দিতে গিয়ে এই মন্তব্য করল দিল্লি হাইকোর্ট। তবে এক্ষেত্রে ও বিচারপতি কয়েকটি বিশেষ শর্ত দিয়েছেন। সম্প্রতি এক মহিলা তাঁর আবেদনে জানান, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দিনের পর দিন তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেছেন এক ব্যক্তি।
পরে ওই ব্যক্তি তাঁকে বিয়ে করতে অস্বীকার করেন। এরপরই ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণের মামলা করেন তিনি। কিন্তু নিম্ন আদালতে মহিলার আর্জি খারিজ হয়। নিম্ন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তিনি হাইকোর্টে আবেদন করেন। ওই মামলার রায় দিতে গিয়ে এদিন বিচারপতি জানান, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসকে সব সময় ধর্ষণ বলে গণ্য করা যায় না। দীর্ঘদিন ধরে কোনও মহিলা যদি কোনও পুরুষের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক জড়িত থাকেন তাহলে সেটা ধর্ষণ নয়। বরং বিয়ের মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে যৌন সম্পর্ককে তখনই ধর্ষণ বলে গণ্য করা হবে যখন কেউ সাময়িক যৌন লালসার শিকার হবেন।
বিচারপতি আরও জানান ইচ্ছের বিরুদ্ধে গিয়ে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে কেউ সহবাস করলে তাকেও ধর্ষণ বলা যেতে পারে। জানা গিয়েছে, ২০০৮ থেকে ওই মহিলা এবং এক ব্যক্তির মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক ছিল। এরপর মহিলাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন ওই ব্যক্তি। তাঁদের দু’জনের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা আরও বাড়ে। পরে অবশ্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ওই মহিলাকে বিয়ে করতে অস্বীকার করেন। তাই ওই মহিলার অভিযোগকে ধর্ষণের আওতায় আনা যাবে না বলে আদালত জানায়।