অনলাইন ডেস্ক, ১৭ ডিসেম্বর।। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে মধ্যপ্রদেশ কমলনাথ নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস সরকারকে ক্ষমতা থেকে উচ্ছেদ করে বিজেপি। রাজ্যে নতুন মুখ্যমন্ত্রী হন বিজেপির শিবরাজ সিং চৌহান। সে সময় কংগ্রেস অভিযোগ করেছিল, মধ্যপ্রদেশ কমলনাথ সরকার মেলার পিছনে বড় ভূমিকা রয়েছে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বের। বিশেষত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির।
এতদিন বিজেপি সেই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছিল।কিন্তু দলের নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় মধ্যপ্রদেশে এক দলীয় সভায় বলেন, মধ্যপ্রদেশ কমলনাথ সরকার ফেলতে যদি কোন নেতার বড় ভূমিকা থাকে তাহলে তিনি হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিজয়বর্গীয়র ওই বক্তব্যের ভিডিয়ো ক্লিপিং মুহূর্তের মধ্যেই ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
ওই ভিডিয়োয় কৈলাসকে বলতে শোনা গিয়েছে, “আজ আমি একটা কথা বলছি, আপনারা কিন্তু এটা কাউকে বলবেন না। এর আগে আমি এই কথা আর কাউকে বলিনি। এখানেই আমি সেই গোপন কথা প্রথম বলছি।”এই বক্তব্যের পর গোটা হলঘরে উপস্থিত দলীয় কর্মীরা সকলেই চুপ করে যান। কী এমন গোপন কথা বলতে চলেছেন কৈলাস, সকলেই শুনতে কৌতূহলী।
এরপরই বঙ্গ বিজেপির এই পর্যবেক্ষক বলেন, মধ্যপ্রদেশ কমলনাথ সরকার ফেলার ক্ষেত্রে যদি কারও বড় ভূমিকা থেকে থাকে সেটা হল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। কখনওই ধর্মেন্দ্র প্রধানের নয়। এদিনের এই দলীয় সভায় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান এবং মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র।
কৈলাসের এই মন্তব্য জানার পর রাজ্য কংগ্রেসের মুখপাত্র নরেন্দ্র সালুজা বলেন, আমরা প্রথম থেকেই অভিযোগ করে আসছিলাম যে কমলনাথ সরকারকে অসাংবিধানিকভাবে উৎখাত করা হয়েছে।
এর পিছনে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। যদিও বিজেপি কখনওই আমাদের অভিযোগ মেনে নেয়নি। বরং তারা বলত কংগ্রেসের অভ্যন্তরীণ গন্ডগোলের জন্যই সরকার পড়ে গিয়েছে। কিন্তু আমাদের বক্তব্যই যা ঠিক ছিল বিজয়বর্গীয়র কথাতেই সেটা প্ৰমাণ হল।