অনলাইন ডেস্ক, ১৬ ডিসেম্বর।। বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ৬০ লক্ষ টন চিনি রফতানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। চিনি রপ্তানি করে যে টাকা আয় হবে তা ভর্তুকি বাবদ সরাসরি ৫ কোটি কৃষকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা হবে। বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর এই কথা ঘোষণা করেন প্রকাশ জাভড়েকর।
প্রকাশ এ দিন জানান, চলতি বছরে সরকার ৬০ লক্ষ টন চিনি রফতানিতে ভর্তুকি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভর্তুকির টাকা সরাসরি কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকবে। এর জন্য সরকারের সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা খরচ হবে। এর বাইরেও আরও ১৮০০ কোটি টাকার কৃষকদের দেওয়া হবে বলে সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সরকারের এই সিদ্ধান্তে দেশের পাঁচ কোটি কৃষক উপকৃত হবেন।
উপকৃত হবেন চিনি শিল্পের সঙ্গে জড়িত পাঁচ লাখ শ্রমিক। এক সপ্তাহের মধ্যেই কৃষকরা ৫০০০ টাকা পর্যন্ত ভর্তুকি পাবেন। ছয় হাজার টাকা প্রতি টন হিসেবে এই চিনি অন্য দেশকে বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরও জানান, চিনির দাম কমে যাওয়ায় কৃষক ও চিনি শিল্পের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীরা সমস্যায় পড়েছেন।
এই সমস্যার হাত থেকে রক্ষা পেতেই সরকার ৬০ লক্ষ টন চিনি রফতানি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। চিনি রফতানিতে সরকার ভর্তুকি দেবে। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, তিন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে কৃষকদের বিক্ষোভ আন্দোলন যখন প্রবল আকার ধারণ করেছে তখন কৃষকদের শান্ত করতেই এই ভর্তুকি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সরকার যদি ভর্তুকি বাবদ প্রত্যেক কৃষককে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ সাহায্য করে তবে মহারাষ্ট্রের চিনি উৎপাদনকারী কৃষকরা খুবই উপকৃত হবেনি। মহারাষ্ট্র ছাড়াও রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশে ও উত্তরপ্রদেশের একাংশেও চিনি উৎপাদন হয়। এই সমস্ত রাজ্যের কৃষকরাও কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে উপকৃত হবেন।