‘পর্নহাব’ হচ্ছে এক ধরনের নীরব ঘাতক

অনলাইন ডেস্ক, ১৬ ডিসেম্বর।। বিশ্বজুড়ে অ্যাডাল্ট ভিডিও কনটেন্টের সবচেয়ে বড় ওয়েবসাইট হিসেবে পরিচিত পর্নহাব। সম্প্রতি এর বিরুদ্ধে শিশু নিগ্রহ, ধর্ষণের ভিডিও প্রচারসহ বিভিন্ন মারাত্মক অভিযোগ উঠছে। যার অনেকগুলোই প্রমাণিত। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থাও নিয়েছে পর্নহাব। চলতি সপ্তাহে ক্রেডিট কার্ড পরিচালনা প্রতিষ্ঠান ভিসা এবং মাস্টার কার্ড ঘোষণা দিয়েছে, তারা আর ব্যবহারকারীদের পর্নহাব দেখার জন্য টাকা খরচ করতে দেবে না। পর্নহাবের বিরুদ্ধে ৪ ডিসেম্বর বিস্তারিত তথ্য-বিবরণ দিয়ে একটি মন্তব্য প্রতিবেদন প্রকাশ করে নিউইয়র্ক টাইমস।

এ ওয়েবসাইটে অজস্র ধর্ষণ, নিপীড়ন, হয়রানিসহ বিকৃত অনেক ভিডিও পাওয়া যায়। অভিযোগের পর ইতিমধ্যে তারা লাখো ভিডিও সরিয়ে ফেলেছে। পর্নহাবে ব্যবহারকারীরা সরাসরি ভিডিও আপলোড করতে পারে। এ ছাড়া এ সাইট থেকে ভিডিও নামিয়ে তা অন্যত্র প্রচার করতে পারে ব্যবহারকারীরা। নিউইয়র্ক টাইমস এর অনুসন্ধানে জানা যায়, পর্নহাবে ভিডিও মডারেশনের যারা দায়িত্বে ছিলেন তারা নিজেদের কাজে অবহেলা করেছেন। যার কারণে ব্যবহারকারীরা ইচ্ছামতো ভিডিও প্রচার করেছেন। এ প্রতিবেদন প্রকাশের পর পর্নহাবের স্বত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠান মাইন্ডগিক পরিবর্তনের ঘোষণা দিয়েছে। এখন থেকে তারা ব্যবহারকারীদের ভিডিও প্রকাশের আগে তার মডারেশন নিশ্চিত করবে বলে জানিয়েছে।

তাদের সাইট থেকে এখন আর কোনো ভিডিও ডাউনলোড করা যাবে না। ধর্ষণ, শিশু অবমাননা, হিংসার ভিডিও যেন আপ না হয় সে ব্যবস্থা তারা করবে। তবে দ্য গার্ডিয়ানে প্রকাশিত প্রবন্ধে মারিয়া ডনেগান জানিয়েছেন ইতিমধ্যেই অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে। কারণ এসব ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার কারণে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে ভুগতে হয়েছে অনেক। তিনি নিকোল নামে এক ব্রিটিশ তরুণীর ঘটনা উল্লেখ করেন। নিকোলের বয়স যখন ১৫ ছিল তখন একটি ছেলে তাকে ব্ল্যাকমেল করে নগ্ন ছবি ও ভিডিও দিতে বাধ্য করে। পরে সেসব ছবি ও ভিডিও পর্নহাবে আপলোড করা হয়। যার কারণে নিকোল কয়েকবার আত্মহত্যার উদ্যোগ নেন।

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

চ্যাট খুলুন
1
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠান
হেলো, 👋
natun.in আপনাকে কিভাবে সহায়তা করতে পারে?