অনলাইন ডেস্ক, ১৬ ডিসেম্বর।। একই দিনে ৫ আন্দোলনকারী কৃষকের মৃত্যুতেও অনড় কৃষকরা। তাঁদের স্পষ্ট দাবি, এই কৃষকদের আত্মবলিদান ব্যর্থ হবে না। সরকারকে তিন কৃষি আইন প্রত্যাহার করতেই হবে।
মঙ্গলবার পাঁচ কৃষকের মৃত্যু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এখনও পর্যন্ত প্রতিবাদে অংশ নেওয়া ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। মঙ্গলবার মাঝরাতে গুরমিত নামে এক প্রতিবাদী কৃষকের মৃত্যু হয়।
গুরমিত সিংঘু-সোনিপত সীমান্তে ঊষা টাওয়ার্সের সামনে মৃত অবস্থায় পড়েছিলেন। বেশ কয়েকদিন ধরে সেখানেই ধর্নায় বসে ছিলেন ৭০ বছর বয়সি এই কৃষক। প্রবল ঠান্ডায় গুরমিত মারা গিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। তবে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে দেহ ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে। গুরমিত ছাড়াও দু’টি পৃথক দুর্ঘটনায় আরও চার কৃষক প্রাণ হারিয়েছেন।
ওই চারজন ধর্নার জায়গা থেকে গাড়িতে নিজেদের বাড়ি ফিরছিলেন। ওই চারজনও বেশ কয়েকদিন ধরে ধর্নায় বসে ছিলেন।
চিকিৎসকদের অনুমান, ৭০ বছর বয়সি গুরমিত হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। ইতিমধ্যেই মৃত কৃষকদের পরিবারকে সব ধরনের সাহায্য করার আশ্বাস দিয়েছেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং।
কেন্দ্রের পক্ষ থেকে অবশ্য কৃষকদের মৃত্যু নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। অন্যদিকে কৃষক সংগঠনের প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, ২০ জন কৃষকের মৃত্যু বৃথা যাবে না। তাঁরা নতুন কৃষি আইন বাতিলের দাবি জানাতে এসে প্রাণ হারিয়েছেন। তাই সরকারকে এই তিন কৃষি আইন বাতিল করতেই হবে।
যতক্ষণ না এই আইন বাতিল করা হচ্ছে ততক্ষণ তাঁদের আন্দোলন ও প্রতিবাদ চলবে। তাতে যদি আরও বেশ কিছু কৃষকের মৃত্যু হয় তাতেও তাঁরা পিছপা হবেন না। এদিকে দিল্লি ও সংলগ্ন এলাকায় শীতের প্রকোপ উত্তরোত্তর বাড়ছে। প্রবল শীতে ও কনকনে ঠাণ্ডা হাওয়ায় চরম দূর্দশার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন কৃষকরা।
কিছু বেসরকারি সংস্থা ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কৃষকদের শীত বস্ত্র দিলেও প্রয়োজনের তুলনায় তা অপ্রতুল। এই প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যেও কৃষকরা যেভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন তাতে অনেকেই বিস্ময় প্রকাশ করেছেন।