অনলাইন ডেস্ক, ১৫ ডিসেম্বর।। মিউটেশন ঘটিয়ে ইংল্যান্ডে করোনা ভাইরাস নতুন রূপ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্রিটিশ বিজ্ঞানীরা। ইংল্যান্ডের দক্ষিণ-পশ্চিমে করোনাভাইরাসের এই নতুন মিউটেশনটির সন্ধান পাওয়া গেছে। প্রসঙ্গত, ভাইরাস সবসময়ই নিজেকে পরিবর্তন করে নতুন রূপ নিতে থাকে – যাকে বলে ‘মিউটেশন’। এর মাধ্যমে কোনো ভাইরাস মানবদেহে সংক্রমণ ছড়ানো এবং বংশবৃদ্ধি ঘটানোর পাশাপাশি ওষুধ বা চিকিৎসার বাধাও মোকাবিলা করার সক্ষমতা অর্জন করে থাকে। করোনাভাইরাস যে এভাবে মিউটেশনের মাধ্যমে নতুন চেহারা নিতে পারে বা নিচ্ছে – এ ব্যাপারে বিজ্ঞানীরা আগে থেকেই সচেতন ছিলেন।
মঙ্গলবার বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানায়, গত দু’এক দিনে ইংল্যাণ্ডের অন্তত ৬০টি জায়গায় করোনাভাইরাসের এক নতুন ‘স্ট্রেইন’ – এর সন্ধান পাওয়া গেছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, সম্প্রতি ওই এলাকায় করোনাভাইরাস সংক্রমণ দ্রুতগতিতে বাড়ার পেছনে এই নতুন রূপগ্রহণকারী ভাইরাসটিই দায়ী। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থাকে এর মধ্যেই ব্যাপারটি জানানো হয়েছে এবং ব্রিটিশ বিজ্ঞানীরা এই ভাইরাসটি নিয়ে বিস্তারিত গবেষণা শুরু করেছেন। বিবিসির স্বাস্থ্য এবং বিজ্ঞান সংবাদদাতা জেমস গ্যালাহার বলেন, ভাইরাসের মিউটেশনের খবর দেখলেই তা আমাদের কাছে একটা ভয়ের খবর বলে মনে হয়।
কিন্তু মিউটেশন এবং নিজেকে পরিবর্তন করতে থাকা ভাইরাসের স্বাভাবিক ধর্ম। তিনি বলেন, অনেক সময় এ পরিবর্তন হয় প্রায় অর্থহীন, কখনো এটা মানুষকে সংক্রমণের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে মরে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। আবার কখনো কখনো এটা আরো বেশিদিন টিকে থাকার এবং সংক্রমণ বাড়ানোর ‘উইনিং ফরমূলা’ পেয়ে যেতে পারে। তবে এটি যে আগের চাইতে সহজে মানুষ থেকে মানুষে ছড়াতে পারে, গুরুতর অসুস্থতা সৃষ্টি করতে পারে বা ভ্যাকসিনকে মোকাবিলা করতে পারে – এমন কোন সুনির্দিষ্ট প্রমাণ এখনো পাওয়া যায়নি।