অনলাইন ডেস্ক, ১৬ ডিসেম্বর।। মঙ্গলবার রাত থেকে জম্মু-কাশ্মীরের রাজৌরির নৌসেরা সেক্টরে বিনা প্ররোচনায় গুলি চালাতে শুরু করে পাকিস্তানের সেনা। কিছুক্ষণের মধ্যেই পাল্টা জবাব দেয় ভারতীয় জওয়ানরা। দীর্ঘ বেশ কয়েক ঘণ্টা দু’দেশের সেনার মধ্যে চলে গুলির লড়াই।
শেষ পর্যন্ত ভারতীয় জওয়ানদের গুলিতে দুই পাক সেনার মৃত্যু হয়েছে বলে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ জানিয়েছে। দুই পাক সেনার মৃত্যুর কিছু পরেই পাকিস্তানি সেনা গুলি চালানো বন্ধ করে। ভারতীয় সেনাদের হতাহত হওয়ার কোনও খবর মেলেনি। চলতি বছরে পাকিস্তান বিনা প্ররোচনায় গুলি ও মর্টার হামলা চালানোর বিষয়ে নতুন রেকর্ড করে চলছে।
অস্ত্রবিরতি লঙ্ঘনের বিষয়ে প্রতিদিনই তারা নিজেদের রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড গড়ছে এমনটা বলা যায়। গত সপ্তাহেও কাশ্মীরের পুঞ্চ জেলার মানকোট সেক্টরে পাক সেনা সীমান্তবর্তী গ্রামগুলি লক্ষ্য করে গুলি ও মর্টার হামলা চালায়। পাক সেনার অতর্কিত হামলায় কয়েক জন গ্রামবাসী জখম হন। নষ্ট হয় তাঁদের ঘরবাড়ি।একইভাবে এখানেও ভারতীয় জওয়ানদের গুলিতে পাঁচ পাক সেনার মৃত্যু হয়।
গুরুতর জখম হয় তিনজন। বুধবারের ঘটনার পর ফের পাকিস্তানের কড়া সমালোচনা করেন চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়াত। তিনি বলেন, চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত পাকিস্তান অস্ত্রবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করার সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। সীমান্তে তারা অকারণে বারবার বিনা প্ররোচনায় গোলাগুলি চালিয়ে অশান্তি বাধানোর চেষ্টা করছে।
তবে ভারতীয় সেনাও সতর্ক আছে এবং প্রতি ক্ষেত্রেই তার কড়া জবাব দিচ্ছে। পাকিস্তানকে ইতিমধ্যেই এ ধরনের অস্ত্রবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করার জন্য উপযুক্ত শিক্ষা দিয়েছে ভারত। কিন্তু ওদের কোনও লজ্জা নেই। আসলে পাক সেনা এভাবে গোলাগুলি চালিয়ে জঙ্গিদের সুবিধা করে দিতে চাইছে।
রাওয়াত আরও বলেন, সীমান্তে অশান্তি পাকিয়ে ভারতীয় জওয়ানদের ব্যস্ত রাখতে চায় পাকিস্তান। সেই সুযোগে জঙ্গিরা ভারতে ঢুকবে, এটাই চায় পাকিস্তান। পাকিস্তানের বোঝা উচিত তাদের এই কৌশল কখনওই সফল হবে না।