অনলাইন ডেস্ক, ১৬ ডিসেম্বর।। আগামী বছরের প্রথম দিকেই রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। তাই রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনকে রাজনৈতিক দলগুলি সেমিফাইনাল হিসেবেই ধরে নিয়েছিল।
সেই সেমিফাইনালে বাম জোটের কাছে অনেকটাই পিছিয়ে পড়ল কংগ্রেস। করোনা থেকে সোনা পাচার কাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের ঘনিষ্ঠরা জড়িত, এ ধরনের একাধিক ইস্যুতে কংগ্রেস টানা প্রচার চালিয়ে ছিল কেরলে।কিন্তু কংগ্রেসের সেই প্রচার কার্যত মাঠে মারা গিয়েছে।
কেরলে প্রত্যাশার থেকে অনেক ভাল ফল করেছে সিপিএম নেতৃত্বাধীন লেফট ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট। শহর ঘেষা অঞ্চলগুলিতে বামেদের ফলাফল যথেষ্ট ভালো হয়েছে। অন্যদিকে যথারীতি পিছিয়ে রয়েছে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ জোট। এই নির্বাচনে কিছুটা হলেও মুখরক্ষা হয়েছে বিজেপির।
তারা বড় ধরনের কোনও সাফল্য না পেলেও বেশ কিছু এলাকায় গেরুয়া দল ভাল ফল করেছে। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, ৯৪১টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ৫১৪ টিতেই এগিয়ে আছে এলডিএফ। কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউডিএফ দখল করতে চলেছে ৩৬৯টি। অন্যদিকে বিজেপির নেতৃত্বে এনডিএ ২৬ টিতে এগিয়ে রয়েছে। যা গতবারের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ।
গতবারের তুলনায় এবার মাত্র ৩৫ টি আসন কম পাচ্ছে বামেরা। সাধারণ অভিজ্ঞতা বলে, কেরলে প্রতি পাঁচ বছর অন্তর পাশা উল্টে যায়। কিন্তু এবার আর সেটা হচ্ছে না। ব্লক পঞ্চায়েতের ক্ষেত্রেও বামেরা এগিয়ে রয়েছে ১০৮টি আসনে। ইউডিএফ এগিয়ে ৪৪ টি আসনে। এখানে অবশ্য এনডি-এর কোনও সাফল্য আসেনি।
গতবারের তুলনায় এবার বামেরা ১৮ টি ব্লক বেশি জিতেছে। জেলা পঞ্চায়েতে অনেকটাই এগিয়ে বামেরা। জেলা পঞ্চায়েতের ১০ টি কেন্দ্রে জয় পেয়েছে বামেরা। কংগ্রেস পেয়েছে চারটি। গতবার কংগ্রেস জয়ী হয়েছিল সাতটিতে। রাজ্যের পুরসভাগুলির মধ্যে ৪৫ টি দখল করতে চলেছে এলডিএফ।
কংগ্রেস পেতে চলেছে ৩৫ টি। তুলনায় দু’টি পুরসভায় জয় ছিনিয়ে নিতে চলেছে এনডিএ। চারটিতে অন্যান্য দল জিততে চলেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত রাজ্যের কর্পোরেশনের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে বাম ও কংগ্রেসের মধ্যে। ছ’টি কর্পোরেশনের মধ্যে পাঁচটিতে এগিয়ে আছে এলডিএফ।
তবে ব্যবধান এতই কম যে, চূড়ান্ত গণনার পর পরিস্থিতি বদলে যেতে পারে। পালাক্কার্ড পুরসভা ছিনিয়ে নিয়েছে বিজেপি। অন্যদিকে তিরুবনন্তপুরমে বামেদের সঙ্গে জোর টক্কর চলছে বিজেপির। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তিরুবনন্তপুরম সামান্য ব্যবধানে এগিয়ে এলডিএফ। শবরীমালা আন্দোলনের কেন্দ্রস্থল পান্ডালামে জয়ী হয়েছে বিজেপি।