অনলাইন ডেস্ক, ১৬ ডিসেম্বর।। আগামী মাস থেকেই দেশ জুড়ে টিকাকরণ শুরুর প্রস্তুতি চালাচ্ছে মোদি সরকার। প্রথম ধাপে এক কোটি স্বাস্থ্যকর্মী, দু’কোটি পুরকর্মী, পুলিশ ও আধাসেনাদের টিকা দেওয়ার কথা রয়েছে। পরবর্তী ধাপে পঞ্চাশ বছরের বেশি বয়সি নাগরিকেরা এবং দীর্ঘদিন ধরে হৃদ্যন্ত্র, কিডনি বা ফুসফুসের রোগের শিকার যাঁরা, এমন ২৭ কোটি মানুষকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে সরকার। কিন্তু তার আগে টিকা নিয়ে আশঙ্কার কথা জানাল কেন্দ্র।
করোনা টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতেই পারে, বলছে খোদ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিবই।প্রসঙ্গত, ব্রিটেনে ফাইজারের করোনা টিকা দেওয়া শুরুর পর কিছু কিছু ক্ষেত্রে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার খবর মিলেছে। সেই কারণে ব্রিটেশ সরকার অ্যাডভাইসারি দিয়েছে যে যাদের অ্যালার্জির ইতিহাস আছে, তারা এই টিকা নেবেন না।
এই নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, টিকাকরণের পর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া অত্যন্ত স্বাভাবিক বিষয়। এর আগেও সারা দেশে টিকাকরণের সময় কিছু শিশু ও গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে নেতিবাচক লক্ষণ দেখা গিয়েছিল। ব্রিটেনের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, যে অনেকের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে। তাই রাজ্যদের এর জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে বলে জানান তিনি।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কথায়, টিকাপ্রাপ্তদের সমস্ত তথ্য রাখা থাকবে ‘কো-উইন’ নামে এক মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনে। এতে কোনও ব্যক্তি কবে টিকা নিয়েছেন, কত দিন পরে বুস্টার বা পরবর্তী ডোজ নিতে হবে, সে বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ তথ্য থাকবে। বয়স্কেরা টিকা নিতে চাইলে ওই মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমেই তা জানাতে পারবেন।