অনলাইন ডেস্ক, ১৬ ডিসেম্বর।। করোনার চিকিৎসা করতে পারবেন না আয়ুর্বেদিক এবং হোমিওপ্যাথ চিকিৎসকরা। প্রেসক্রিপশনে কোভিড-১৯ চিকিৎসার জন্য ওষুধপত্রের নামও লিখতে পারবেন না তাঁরা, রায় সুপ্রিম কোর্টের। এর আগে, কেরলের হাইকোর্ট থেকেও একই রায় দেওয়া হয়েছিল।
দেশের শীর্ষ আদালত করোনা চিকিৎসা নিয়ে সেই একই রায় বহাল রাখল। গত ৬ মার্চ কেন্দ্রের আয়ুশ মন্ত্রকের একটি নির্দেশিকায় স্পষ্ট বলা হয়েছিল, হোমিওপ্যাথ চিকিৎসকরা কোভিডের চিকিৎসায় ওষুধ দিতে পারবেন না। তবে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসাবে ওষুধ দিতে পারবেন। বস্তুত, এদিন সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি অশোক ভূষণের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ আগের সেই রায়ই বহাল রেখেছে।
তবে কোভিড-প্রতিরোধে সরকার অনুমোদিত কিছু ‘সাপ্লিমেন্ট’ বা ‘ট্যাবলেট’ বা ‘মিক্সচার’-এর নাম তাঁরা আক্রান্তকে বলে দিতে পারবেন বলে জানিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। প্রসঙ্গত, দেশে এখনও পর্যন্ত করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের শিকার হয়েছেন ৯৯ লক্ষের বেশি মানুষ। প্রাণ হারিয়েছেন ১ লক্ষ ৪৩ হাজার ৭০৯ জন। তবে ধীরে ধীরে দেশে সংক্রমণের হার উল্ল্যেখযোগ্য হারে কমছে। সক্রিয় রোগীর সংখ্যা কমার পাশাপাশি কমেছে মৃতের সংখ্যাও।
বিতর্কের সূত্রপাত হয় যখন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন কোভিড-১৯ প্রতিরোধ করার জন্য একটি নির্দেশিকা প্রকাশ করেন। এই নির্দেশিকায় বলা হয়েছিল, যোগ ব্যায়াম, অশ্বগন্ধার মতো বিভিন্ন আয়ুর্বেদিক জরিবুটি এবং আয়ুষ-৬৪ ওষুধ করোনার সংক্রমণ রোধ করতে পারে এবং কিছু ক্ষেত্রে রোগীকে সুস্থও করে তুলতে পারে।
যদিও স্বাস্থ্য দফতরের তরফে আগেই বলা হয়েছিল যে আয়ুষ ও হোমিওপ্যাথ চিকিৎসকরা, চিকিৎসা হিসাবে নয়, বরং কোভিডের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসাবে সরকার অনুমোদিত ট্যাবলেট বা ওষুধ ‘প্রেসক্রাইব’ করতে পারেন।
গত ২১ আগস্ট এই রায় দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কেরল হাইকোর্টের রায়ে পরিবর্তন আনার আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন জমা দিয়েছিলেন ডঃ একেবি সদ্ভাবনা মিশন স্কুল অফ হোমিও ফার্মাসি। সেই আবেদন খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট।