অনলাইন ডেস্ক, ১৫ ডিসেম্বর।। অবসর ভেঙে এ বার তাঁর মাঠে নতুনভাবে ফেরার অপেক্ষায় রয়েছেন ভক্তরা। খুব সম্ভবত সৈয়দ মুস্তাক আলি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টেই বাইশ গজে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করতে চলেছেন যুবরাজ সিং। গত কয়েকদিন ধরে পাঞ্জাব ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের স্টেডিয়ামে রাজ্য দলের ক্রিকেটারদের সঙ্গে গা ঘামানোর কাজ শুরু করে দিয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেটের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার।
মঙ্গলবার নেটে প্রায় ৪৫ মিনিট ব্যাটিং অনুশীলন করেন যুবরাজ। ছিলেন স্বমেজাজে। বোলারদের হেলায় পাঠিয়ে দিয়েছেন গ্যালারিতে, যা দেখে অনেকেই মনে করছেন পুরনো ছন্দটা এখনও হারিয়ে যায়নি তাঁর ব্যাট থেকে।
গত দশ দিন ধরে পাঞ্জাব দল দুটি ভাগে অনুশীলনের সঙ্গে নিয়মিত অনুশীলনী ম্যাচ খেলে চলেছে। ১৮ ডিসেম্বর লুধিয়ানায় রয়েছে ম্যাচ। কিন্তু ৩৯ বছরের যুবরাজের ম্যাচ খেলার মতো ফিটনেস চলে এসেছে কি না, তা নিয়ে একটা চাপা প্রশ্ন থেকেই গিয়েছে। নেটে ব্যাটিং করা আর মাঠে নেমে খেলার মধ্যে অনেক ফারাক রয়েছে। তা নিয়ে টিম ম্যানেজমেন্ট নিয়মিত আলোচনা চালাচ্ছে।
পাশাপাশি ভারতীয় বোর্ড এখনও যুবরাজকে খেলার সরকারি অনুমতি দেয়নি। ফলে ২০১১ বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় দলের নায়ককে নিয়ে চাপা উৎকণ্ঠা থাকছেই। তবে আশাবাদী পাঞ্জাব ক্রিকেট সংস্থার কর্তারা। সচিব পুনিত বালী বলেছেন, “আমরা বোর্ডের ছাড়পত্রের অপেক্ষায় রয়েছি। আশা করি, সেটা দ্রুত পেয়ে যাব। তার পরেই যুবরাজকে নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
ইতিমধ্যে পাঞ্জাব দলের ক্রিকেটারদের নিয়ে নিয়মিত ক্লাস শুরু করে দিয়েছেন যুবরাজ। ব্যাটিং, বোলিং এবং ফিল্ডিং, তিন জায়গাতেই ক্রিকেটারদের কতটা তৎপর এবং ক্ষিপ্র হতে হবে, তা নিয়ে নিয়মিত গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা চলছে। পিসিএ কর্তাদের সেই ব্যাপারটা খুবই ইতিবাচক বলে মনে হয়েছে।
বালী বলেছেন, “যুবরাজের ক্লাসের পরে ক্রিকেটারদের মধ্যেও নতুন একটা উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে। ফলে ও যদি মাঠে খেলে, তা হলে দলের আগ্রাসী মেজাজ অনেকটাই বেড়ে যাবে। আমাদের কাছে সেটাই সবচেয়ে বড় ইতিবাচক বিষয় বলে মনে হয়েছে।”