অনলাইন ডেস্ক, ১৫ ডিসেম্বর।। এক বড় অংশের মানুষ মনে করছেন, প্রতিষেধক আবিষ্কৃত হোক অথবা না-ই হোক, অলিম্পিক্স স্থগিত রাখাই হবে বিবেচনার কাজ। যে মতামত প্রকাশিত হওয়ার পরে রীতিমতো রাতের ঘুম উধাও হওয়ার দশা আয়োজকদের।
জাপানের জাতীয় বেতারসংস্থা সম্প্রতি সাধারণ মানুষের মধ্য একটি সমীক্ষা চালায় টোকিও অলিম্পিক্স আয়োজন নিয়ে। সেই সমীক্ষায় উঠে এসেছে ভয়ঙ্কর তথ্য। দেখা গিয়েছে, মাত্র ২৭ শতাংশ মানুষ চান, ২০২১ সালের জুলাই মাসে অলিম্পিক্স আয়োজন করা উচিত। ৩২ শতাংশ মানুষ সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, এই করোনা আবহে অবিলম্বে অলিম্পিক্স স্থগিত রাখার কথা ঘোষণা করে দেওয়া উচিত সরকারের। ৩১ শতাংশ মানুষ চান, দরকারে অলিম্পিক্সকে আরও কিছুদিনের জন্য পিছিয়ে দেওয়া হোক। ৯ শতাংশ মানু। এই বিষয় নিয়ে স্পষ্টভাবে নিজেদের মতামত জানাতে রাজি হননি।
আর সেই সমীক্ষা টোকিও অলিম্পিক্স আয়োজক কমিটির সদস্যদের রক্তচাপ বাড়িয়ে দিয়েছে। এমনিতেই করোনা অতিমারির কারণে অলিম্পিক্স পিছিয়ে গিয়েছে এক বছর। ফলে আগে এই গেমস আয়োজন করতে যে পরিমাণ অর্থ খরচ হত, তার মাত্রাও বেড়ে গিয়েছে। দ্বিতীয়ত নতুন বছরেও যদি প্রতিষেধক আবিষ্কৃত না হয় তা হলে কী করে অলিম্পিক্স আয়োজিত হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। তার পরেও রয়েছে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক সংস্থার ভূমিকা।
২০২১ সালেও যদি অলিম্পিক্স না হয়, তা হলে হয়তো আইওসি টোকিওর হাত থেকে অলিম্পিক্স আয়োজনের ক্ষমতা কেড়ে নিতে পারে। ফলে পরিস্থিতি ক্রমশ ঘোরালো হয়ে উঠতে শুরু করেছে। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহেই একটি রেডিও চ্যানেলে দেশের ৬১.২ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন, আগামী বছর অলিম্পিক্স আয়োজনের ক্ষেত্রে বড় ধরনের ঝুঁকির সম্ভাবনা থেকেই যাচ্ছে।
তাই হয় তা আরও পিছিয়ে দেওয়া হোক অথবা স্থগিত ঘোষণা করা হোক। যদিও আয়োজকরা মনে করছেন, এই উদ্বেগ সাময়িক। সাম্প্রতিক সময়ে জাপানে নতুন করে করোনা সংক্রমণ বাড়েনি। সংক্রমিত এবং মৃত্যুর হারও অনেক কম। ফলে ২০২১ সালের জুলাই মাসের মধ্যে পরিস্থিতি আগের মতোই স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
পাশাপাশি করোনাকে রুখতে গেমস ভিলেজ এবং প্রতিটি জায়গায় চরমতম সতর্কতা অবলম্বন করা হবে। ক্রীড়াবিদদের যাতে কোনও ধরনের শারীরিক অসুস্থতায় না পড়তে হয়, তার জন্য চিকিৎসকদের যাবতীয় পরামর্শ অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলা হবে। কিন্তু তাতেও আমজনতার মনোভাব পাল্টাবে কি না, তা নিয়ে স্পষ্ট কোনও উত্তর এখনও জানা নেই আয়োজকদের।