অনলাইন ডেস্ক, ১৫ ডিসেম্বর।। নাবালিকা মেয়েকে বিক্রি করে করে নগদ চার লাখ টাকা মিলেছে। সেই টাকায় চলছে দেদার ফুর্তি। শুধু বিক্রি করাই নয়, মেয়ে যাতে বিষয়টি বুঝতে না পারে সেজন্য ওই ব্যক্তির সঙ্গে মেয়ের মা-বাবা তার বিয়ে দেয়। কিশোরীর অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি গত কয়েকদিনে তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে।
ওই নাবালিকার অভিযোগের প্রেক্ষিতে তার মা-বাবা এবং স্বামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়িনীতে। পুলিশ জানিয়েছে উজ্জয়নীর বাসিন্দা ওই নাবালিকার মা-বাবা তার বিয়ের জন্য তাকে রাজস্থানের উদয়পুরে নিয়ে যায়।
২৪ নভেম্বর উদয়পুরের এক ব্যক্তির সঙ্গে তার বিয়ে দেয়। ওই ব্যক্তি নাবালিকার চেয়ে বয়সে অনেক বড়। এরপর মেয়েকে রাজস্থানে রেখেই তারা উজ্জয়িনীতে ফিরে আসে। মা বাবা ফিরে যাওয়ার পরেই ওই ব্যক্তির আসল স্বরূপ প্রকাশ হয়। ওই বয়স্ক ব্যক্তি নাবালিকাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। কিশোরী বাধা দিতে গেলে ওই ব্যক্তি জানায়, কড়কড়ে চার লাখ টাকা দিয়ে সে তাকে কিনেছে। তাই সে ইচ্ছে মতই তাকে ধর্ষণ করবে।
এরপরই ওই নাবালিকা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির হাত থেকে বাঁচতে নিজের উপস্থিত বুদ্ধি খাটায়। সে তার মা-বাবাকে একবার দেখতে যাওয়ার জন্য বাড়ি ফিরতে চায়। এরপর ওই ব্যক্তি চলতি মাসের ৮ তারিখে তাকে উদয়পুর থেকে উজ্জয়িনীতে নিয়ে আসে। বাড়ি ফিরে ওই নাবালিকা নিজের এক আত্মীয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাকে পুরো ঘটনাটি জানায়। এরপর আত্মীয়র সাহায্যেই ওই নাবালিকা মহিলা পুলিশে খবর দেয়।
পুলিশ এসে ওই নাবালিকার মা বাবা ও তার স্বামীকে গ্রেফতার করে। ধৃতদের সকলের বিরুদ্ধে পকসো-সহ একাধিক ধারায় মামলা করা হয়েছে। ওই কিশোরী মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ায় তার কাউন্সেলিং চলছে।