স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ১৫ ডিসেম্বর।। বিকাশের পথে আরও এক ধাপ উত্তীর্ণ হল ত্রিপুরা। সাব্রুমে ইন্টিগ্রেটেড চেক পোস্টের জন্য ৯০ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। আজ এভাবেই উছ্বাস প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। তাঁর মতে, ইন্দো-বাংলা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে এই ইন্টিগ্রেটেড চেক পোস্ট মাইলফলক হয়ে উঠতে চলেছে। ত্রিপুরার অর্থনৈতিক বিকাশের ক্ষেত্রেও সাব্রুমের আইসিপি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেবে। সাথে তিনি যোগ করেন, ত্রিপুরার বয়স্ক নাগরিকদের অনলাইন রেশন ব্যবস্থায় রেশনসামগ্রী গ্রহণ করার ক্ষেত্রে সমস্যা সমাধানে বিকল্প বন্দোবস্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার।
আজ মুখ্যমন্ত্রী সাব্রুমে ইন্টিগ্রেটেড চেক পোস্ট-র জন্য অর্থ বরাদ্দের জন্য সমগ্র ত্রিপুরাবাসীর পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-কে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, প্রধানমন্ত্রী-র দিশাতেই ত্রিপুরা বিকাশের পথে অগ্রসর হচ্ছে। আত্মনির্ভর হয়ে ওঠার অভিমুখে কার্যধারা পরিচালনা করছে। কেন্দ্রীয় সরকারের সহযোগিতা এবং রাজ্যবাসীর সার্বিক অংশগ্রহণের মাধ্যমেই ত্রিপুরা কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছতে সক্ষম হবে। আজ মুখ্যমন্ত্রী আরো বলেন, ত্রিপুরা সরকারের খাদ্য দপ্তর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বায়ােমেট্রিক মেশিনে আঙুলের ছাপ দিয়ে যে বয়স্ক ব্যক্তিদের রেশন সামগ্রী গ্রহণ করতে সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে তাদের বাড়িতে যদি অন্য কোনও সদস্য না থাকেন তাহলে ওই রেশন দোকানের যেকোনও গ্রাহককে তিনি তাঁর নমিনি করতে পারবেন।
বিকল্প হিসেবে তাঁর হয়ে নমিনি রেশন সামগ্রী কিনতে পারবেন। তাঁর বক্তব্য, তেমন প্রয়ােজন হলে সংশ্লিষ্ট এলাকার খাদ্য পরিদর্শকও নমিনি হতে পারবেন। তিনি বলেন, যদি কোনও বয়স্ক ব্যক্তি কাউকে নমিনি করতে চান, তাহলে সংশ্লিষ্ট প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে মহকুমা শাসকের কার্যালয়ে যোগাযোগ করতে হবে। তাঁর সাফ কথা, প্রত্যেক ব্যক্তি যাতে তাঁর প্রাপ্য রেশন সামগ্রী পান সে ব্যাপারে ত্রিপুরা সরকার দায়বদ্ধ ও যত্নশীল। মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকেই বয়স্ক মানুষদের সুরাহা দিতে রাজ্য সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।