স্টাফ রিপোর্টার, বিশালগড়, ১৫ ডিসেম্বর।। বিশালগড় এলাকায় একাংশ ভূমি দস্যুরা ইদানিং যেন একপ্রকার সক্রিয় হয়ে উঠেছে৷ বেআইনিভাবে জমি ভরাট, পুকুর ভরাট এবং টিলা ভূমি, বনবিভাগ অধীনস্থ জায়গা এমনকি খাস জায়গার মাটি পযন্ত কেটে নিয়ে যাবার মত একাধিক অভিযোগ উঠছে স্থানীয় একাধিক ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে৷
ভূমি দস্যুদের একেরপর এক বেআইনি কার্যকলাপ সম্পর্কে অবগত রয়েছেন বিশালগড় মহাকুমার শাসক কার্যালয়ে দায়িত্বরত আধিকারিকরা৷ কিন্তু উনারা সবকিছু জানা সত্ত্বেও, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণে কিছুটা হলেও দ্বিধাবোধ করে থাকেন৷ জানা যায় ভুমি দস্যুদের সহিত যোগসাজশ রয়েছে বিশালগড় মহকুমা শাসক কার্যালয়ে নিযুক্ত একাংশ আধিকারিক৷যার সুবাদে ভুমি দস্যুরা বেশ কয়েক বছর যাবৎ বিশাল গড় এলাকায় একপ্রকার নির্দিধায় সংগঠিত করে চলছে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড৷
বিনিময়ে প্রশাসনের আধিকারিক কে বাঁকা পথে রোজগার হচ্ছে লাখ লাখ টাকা৷
ইদানিং ভূমি দস্যুদের লাল চক্ষু আকৃষ্ট করছে বিশাল গড় মিউনিসিপ্যাল অধীনস্থ এলাকা গুলি৷ মাত্র কয়েক মাসের মধ্যে বিশালগড় মিউনিসিপ্যাল অধীনস্থ বেশ কয়েকটি জমি বেআইনিভাবে জমি ভরাট এর কাজ সম্পূর্ণ করা হয়৷ বিশালগড় মহকুমার রঘুনাথপুর, নেতাজি নগর, রাউতখলা, মোড়াবাড়ি ,নারাউরা এলাকাগুলিতে উপস্থিত হয়ে, চোখ দুটি চার দিকে একটু তাকালেই উপরে উল্লেখিত বিষয়গুলো চাক্ষুষ প্রমান পাওয়া যায়৷
বর্তমানে বিশালগড় এলাকার নামকরা ভূমি দস্যুদের নামের তালিকার প্রথম স্থানে রয়েছেন বাইদ্যারদিগী এলাকার অবসরপ্রাপ্ত ভারতীয় সেনাবাহিনীতে কর্মরত জোওয়ান রমেশ সিং উরফে ফাল্গুনী৷ ভারতীয় সেনাবাহিনীতে কর্মরত জোয়ান এমনকি সমাজের দ্বায়িত্বভান ব্যাক্তি হিসেবে পরিচিত, আজ উনার মত ব্যাক্তি কর্তৃক সমাজ বিরোধী এবং দেশের সাথে গদ্দারি করার মত ঘটনা, সত্যিই তা যেন দেশবাসীর নিকট বোধ গম্য নয়৷
তবে ভূমি দস্যু ফাল্গুনির সিং কর্তৃক একেরপর এক বেআইনি কার্যকলাপ আজকাল কোনো নতুন বিষয় নয়৷ বেশ কয়েক বছর ধরে অবসরপ্রাপ্ত জোয়ান অবৈধ ভাবে টিলাভূমি কাটা এবং জমি ভরাট, পুকুর ভরাট এর মত, অবৈধ বাণিজ্যের সাথে যুক্ত৷ জানা যায়, বর্তমানে রমেশ সিং অধীনস্থ দুটি জে সি বি গাড়ি ও সাত আটটা ট্রিপার গাড়ি রয়েছে৷ নিত্যদিন ওইসব গাড়ি করে বিশালগড় এলাকার বিভিন্ন স্থান হতে মাটি ক্রয়-বিক্রয় করতে দেখা যায়৷
বর্তমানে উক্ত সমাজদ্রোহীর হাত ধরে রাউৎখলা বাইপাস সংলগ্ণ বেশ কয়েকটি ধানের জমি একপ্রকার অবৈধভাবে ভরাট করে ফেলে৷ এছাড়াও চন্দ্রনগর নারাউরা, কসবা গোপিনগর এলাকার বেশ কয়েকটি পুকুর অবৈধভাবে ভরাট করার খবর রয়েছে৷ তবে ইদানিং অন্যের জায়গা দখল করার চেষ্টা জারি রেখেছে ভূমিদস্যু রমেশ সিংহ ওরফে ফাল্গুনী৷
সাধারণ জনগণের টিলা ভূমি হতে চুরি করে মাটি নিয়ে যাবার মত অভিযোগও রয়েছে ফাল্গুনী সিং এর বিরুদ্ধে৷ কিছুদিন পূর্বে ধজনগর এলাকার এক সংখ্যালঘু ব্যক্তির টিলা ভূমি হতে অনুমানিক ১০,১২ গাড়ি ভর্তি মাটি চুরি করে অন্যত্র বিক্রি করে দেয় ফাল্গুনী৷ পরবর্তীতে জায়গার মালিক উক্ত বিষয়ে অবগত হন এবং ঘটনাস্থলে গিয়ে ফাল্গুনী ও তার ব্যবহৃত গাড়ি গুলিকে হাতেনাতে ধরে ফেলে৷ উক্ত সময় ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিশালগড় এলাকার একাধিক সংবাদ কর্মী৷
সংবাদকর্মীদের প্রশ্ণের উত্তরে ফাল্গুনী সিংহ দাবি করে, মাটি কাটা ও জমি ভরাট করার বিষয়ে বিশালগড় মহকুমা শাসক কার্যালয় হতে তার বৈধ অনুমোদন পত্র রয়েছে৷
পরবর্তীতে সংবাদকর্মীরা বিশাল গরম মহাসরক কার্যালয়ে যোগাযোগ করে এবং ঘটনার সত্যতা যাচাই করে৷ দেখা যায় ওইসব জায়গা গুলি থেকে মাটি কেটে নিয়ে যাবার এবং জমি ভরাট করার মত কোনো বৈধ অনুমতি পত্র বিশালগড় মহকুমা শাসক কার্যালয় হতে দেওয়া হয়নি৷
তবে ইদানিং তার নেতৃত্বে একদল সমাজে ওইসব এলাকার বেশ কিছু জমি এক প্রকার জোর জবরদস্তি দখল করতে যেন একপ্রকার মরিয়া৷ তার বিভিন্ন অবৈধ কার্যকলাপ সম্পর্কে এলাকার সাধারন জনগন ইতিমধ্যে প্রতিবাদী হয়ে ওঠার খবরও পাওয়া যায়৷ ইদানিং ফাল্গুনী সিংহ এর নেতৃত্বে স্থানীয় একদল সমাজদ্রোহী জন্ম নেয়৷
একপ্রকার ওইসব সমাজ দ্রোহীদের ডাল বানিয়ে ফাল্গুনী সিংহ ইদানিং নিজ স্বার্থসিদ্ধিতে কামিয়াব৷ এলাকার একাংশ জনগণ ফাল্গুনী সিংয়ের অবৈধ কার্যকলাপ সম্পর্কে ইতিমধ্যে বিশালগড় মহকুমাশাসকের নিকট লিখিত অভিযোগপত্র প্রদান করার পরিকল্পনা নিচ্ছে এলাকাবাসী৷