অনলাইন ডেস্ক, ১৪ ডিসেম্বর।। নরেন্দ্র মোদি সরকারের তৈরি করা তিনটি কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে ১৭ দিন ধরে রাজপথে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে কৃষকরা। বিক্ষোভরত কৃষকদের সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছে একাধিক সংস্থা ও সংগঠন। কোনও সংগঠন কৃষকদের খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা করেছে। কেউ বা তাদের শারীরিক সুস্থ রাখার চেষ্টা চালাচ্ছে। আবার কোনও সংগঠন কৃষকদের রাত কাটানোর জন্য আশ্রয়ের ব্যবস্থা করেছে। যা নিয়ে তৈরি হয়েছে এক নতুন বিতর্ক।
সরকার মনে করছে, কংগ্রেস ও কয়েকটি রাজনৈতিক দল এভাবে তলে তলে কৃষকদের মদত জুগিয়ে চলেছে। তাদের উস্কানির ফলে কৃষকরা একটানা ১৭ দিন ধরে আন্দোলন চালাচ্ছে। কৃষকরা আন্দোলনে নামলেও তাদের খাওয়া-পরার কোনও অভাব হচ্ছে না। এমনকি, শারীরিক দিক থেকেও কৃষকরা যথেষ্ট ভাল অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন। কৃষকদের বিক্ষোভে দেখা গিয়েছে, বেশ কিছু মানুষ এবং স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা তাদের জন্য বিভিন্ন ধরনের খাবারের আয়োজন করেছে। কয়েকটি সংগঠন আবার আন্দোলনরত কৃষকদের গা-হাত-পা ম্যাসাজ করে দেওয়ার জন্য মেশিন এনেছে।
আন্দোলনরত কৃষকরা সেখানে পালা করে ম্যাসাজ করাচ্ছেন।এই বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন মহিলারাও। মহিলাদের জন্য শৌচাগার তৈরি করে দেওয়ার পাশাপাশি তাঁদের শারীরিক সমস্যার কথা মাথায় রাখা হয়েছে। বহু ঋতুমতী মহিলাও এই আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন। ঋতুকালীন সুবিধার জন্য তাঁদের স্যানিটারি ন্যাপকিন দেওয়া হচ্ছে। একটি সংগঠনের পক্ষ থেকে রীতিমতো লঙ্গরখানা তৈরি করে কৃষকদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে পিৎজা। এসব দেখার পরই সরকারের ধারণা হয়েছে যে, এই আন্দোলনের পিছনে কংগ্রেস-সহ বিরোধী দলগুলির পুরোদস্তুর মদত রয়েছে।
তারাই পিছন থেকে কৃষকদের জন্য খাবার ও অন্যান্য জিনিসের ব্যবস্থা করেছে। আন্দোলনরত কৃষকদের যে ভাবে ম্যাসাজ করা হচ্ছে তাও সরকারের দৃষ্টি এড়ায়নি। সরকার মনে করছে, কৃষকরা বেশ আনন্দের মধ্যেই দিন কাটাচ্ছেন। এদিকে কৃষক আন্দোলন নিয়ে দু’পক্ষই তাদের বক্তব্যে অনড়। কৃষকরা আগেই জানিয়ে দিয়েছেন, ওই তিন আইন অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। অন্যদিকে সরকার আইনে কিছু সংশোধনী আনতে রাজি হলেও তা বাতিল করা হতে পারে এমন কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। বরং ওই তিন আইন বাতিল হবে না এই সিদ্ধান্তে সরকার পক্ষ অনড়।