অনলাইন ডেস্ক, ১৪ ডিসেম্বর।। এই বছরে তাঁকে দুবার হাঁটুর অস্ত্রোপচার করাতে হয়েছে। অনেকটা সময় টেনিস থেকে দূরে সরে থাকলেও নিজেকে এখনও ম্যাচ ফিট করে তুলতে পারেননি ২০টি গ্র্যান্ড স্ল্যামের মালিক রজার ফেডেরার। ফলে নতুন বছরে অস্ট্রেলীয় ওপেনে তিনি খেলবেন কি না, তা নিয়ে নতুন করে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। আগামী বছরের অগস্ট মাসে ৪০ বছরে পা দেবেন ফেডেরার। এই বছরের গোড়ায় অস্ট্রেলিয়া ওপেনের সেমিফাইনালে নোভাক জকোভিচের কাছে হেরে বিদায় নেওয়ার পর থেকেই তিনি কোর্ট থেকে দূরে সরে যান।
তার পরেই করোনা অতিমারির কারণে গোটা বিশ্বের গতিই থেমে যায়। নিজের বাড়িতে অনুশীলন করলেও কোর্টে নেমে খেলার যে চাপ এবং ধকল থাকে, তা এখনও রজারের কাছে কিছুটা হলেও অজানা থেকে গিয়েছে। কিন্তু তিনি নিজে মনে করছেন, কোর্টে নেমে খেলার মতো ১০০ শতাংশ ফিট এখনও হয়ে উঠতে পারেননি। সুইৎজারল্যান্ডের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথাপ্রসঙ্গে ফেডেরার বলেছেন, “ভেবেছিলাম অক্টোবর মাসের মধ্যে ১০০ শতাংশ ফিট হয়ে যাব। কিন্তু আজকের দিন পর্যন্ত সেই মাত্রায় আমি পৌঁছতে পারিনি। ফলে নতুন বছরে অস্ট্রেলীয় ওপেনে কতটা খেলতে পারব, তা নিয়ে দ্বিধা রয়েই গিয়েছে। দ্বিতীয়বার হাঁটুর অস্ত্রোপচার বেশ কঠিন ছিল। যদিও গত ছয় মাসে তার অনেকটাই উন্নতি হয়েছে। কিন্তু আগামী দুটো মাস কতটা উন্নতি করতে পারছি, তার উপরেই সব কিছু নির্ভর করছে।
আমি নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি ফিজিওর সঙ্গে। কোর্টে নেমে পরিশ্রম করাও শুরু করেছি। এ বার দেখতে হবে, কোর্টে নেমে কতটা বলের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারছি। ওখানে কেউ ছেড়ে কথা বলবে না।”করোনার কারণে নতুন বছরের অস্ট্রেলীয় ওপেন জানুয়ারি মাসের পরিবর্তে ফেব্রুয়ারি মাসেও হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন আয়োজকেরা। যদিও এটাও জানানো হয়েছে, খেলোয়াড়রা তার মধ্যে মেলবোর্নে এসে কোয়ারেন্টাইন পর্বের মধ্যেই নিয়মিত অনুশীলন করতে পারেন। ফেডেরারের পক্ষে কোয়ারেন্টাইনে থএকে অনুশীলন করার কাজও খুব সহজ হবে বলে মনে করছেন না তাঁর টিমের অনেক সদস্য। ফেডেরার বলেছেন, “নজরে রাখছি অস্ট্রেলীয় ওপেন কবে থেকে শুরু হবে, তার দিকেও। শুনছি ওটা হতে পারে ফেব্রুয়ারি মাসে। যদি তা-ই হয়, তা হলে আমার পক্ষে কিছুটা সুবিধাই হবে।”