অনলাইন ডেস্ক, ১৪ ডিসেম্বর।। মোবাইল উৎপাদনের ক্ষেত্রে চিনকে টপকে যাওয়াই লক্ষ ভারতের। সোমবার এই কথা জানালেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। উল্লেখ্য, বিশ্বে সবচেয়ে বেশি মোবাইল তৈরি হয়ে থাকে চিনে। চিনের পরেই দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। এবার চিনকে সরিয়ে দিয়ে প্রথম স্থান দখল করার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করল নরেন্দ্র মোদি সরকার। তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রীর আশা, খুব শীঘ্রই চিনকে তার এক নম্বর জায়গা সরিয়ে দিতে পারবে ভারত। করোনাজনিত পরিস্থিতিতে একাধিক বিদেশী সংস্থা চিন থেকে তাদের ব্যবসা গুটিয়ে ভারতে নিয়ে আসতে চাইছে।
সে কথা মাথায় রেখেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এদিন এই মন্তব্য করেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। তবে শুধু মোবাইল উৎপাদনের ক্ষেত্রে নয়, শিল্পের অন্যান্য ক্ষেত্রেও বিভিন্ন বিদেশী সংস্থাকে ভারতে টেনে আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে মোদি সরকার। এই মুহূর্তে মোদি সরকারের অন্যতম লক্ষ্য হল, ভারতকে ইলেকট্রনিক্স হাব হিসেবে গড়ে তোলা। বণিকসভা ফিকির বার্ষিক সাধারণ সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে সরকারের এই লক্ষ্যমাত্রার কথা জানান রবিশঙ্কর। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এদিন বলেন, এক সময় আমরা মোবাইল উৎপাদনে দ্বিতীয় স্থানে যেতে চেয়েছিলাম। সেটা আমরা করে দেখিয়েছি। এবার আমরা চিনকে টপকে যেতে চাই।
এটাই আমাদের লক্ষ্য। আমি নিশ্চিত আমরা সেই লক্ষ্য পূরণ করতে পারব। উল্লেখ্য, ২০১৭ থেকেই বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মোবাইল উৎপাদনকারী দেশ হিসেবে পরিচিত হয়েছে ভারত। মোদি সরকারের লক্ষ্য, ২০২৬ নাগাদ ইলেকট্রনিক্স দ্রব্য তৈরি করে ২৬ লক্ষ কোটি টাকা আয় করা। যার মধ্যে থেকে ১৩ লক্ষ কোটি টাকা আসবে শুধু মোবাইল উৎপাদন করে। বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন অগ্রগণ্য মোবাইল সংস্থাগুলির প্রায় সবই চিনের। এছাড়াও ইলেকট্রনিক্স দ্রব্য তৈরির ক্ষেত্রেও চিন বিপুল পরিমাণ ব্যবসা করছে। নরেন্দ্র মোদি সরকার চিনের সেই একচেটিয়া ব্যবসায় হস্তক্ষেপ করতে চায়। অর্থাৎ চিনের প্রতিযোগী হয়ে ওঠার চেষ্টা করছে মোদি সরকার। বিশেষ করে লাদাখের গালওয়ান সীমান্তে চিন- ভারত সেনা সংঘর্ষের পর মোদি সরকার এবিষয়ে আরও সক্রিয় হয়েছে। চিনা পণ্যে অভ্যস্ত হয়ে ওঠা মানুষকে দেশী পণ্যের দিকে টেনে আনার চেষ্টা চালাচ্ছে। মোদি সরকারের এই উদ্যোগে ইতিমধ্যেই কিছুটা বিপাকে পড়েছে চিন।