অনলাইন ডেস্ক, ১৩ ডিসেম্বর।। ঘর সাজাতে সবাই কমবেশি পছন্দ করে। আর সেই সাজানো যদি হয়ে থাকে ব্যবহৃত না হওয়া কোন জিসিন। মশারি ঠিক তেমনি একটি উপাদান। মশারি একটু ফুটো হলেই নাম লেখায় বাতিলের খাতাতেই । কিন্তু জানেন কি, তা দিয়েও বানিয়ে নেওয়া যায় কুশন কভার, পাপোশ। এমনকি পুরনো মশারি দিয়ে আপনি তৈরি করতে পারেন নানা শৌখিন জিনিস।
ফেলনা মশারি দিয়ে ঢাকনা,
রান্নাঘরে বিভিন্ন জিনিস ঢেকে রাখতে কাজে লাগেই ঢাকনা। মশারি দিয়ে তৈরি হতে পারে এমন ঢাকনা, যার ভেতর দিয়ে শুধু হাওয়া-বাতাস প্রবেশ করবে। আবার তা দিয়ে চালনি বানিয়ে নেওয়া যায়। সেলাই করার কাঠের গোল ফ্রেম কিনে নিন। এবার ফ্রেমের চেয়ে খানিকটা বেশি মাপের মশারি গোল করে কাটুন। ফ্রেমের মধ্যে তা বসিয়ে, উপরের ফ্রেম দিয়ে আটকে দিন। পাশের পিন ঘুরিয়ে টাইট করে নিন। ধুয়ে রাখা ফল-আনাজ চাপা দিতে এ রকম ঢাকনা ব্যবহার করতে পারেন। তবে চালনি বানাতে গেলে মশারির বহর বেশি রাখতে হবে। তৈরির পর জালের অংশটি ভিতরের দিতে যত বেশি ঝুলে থাকবে, তত সুবিধে।
ফেলনা মশারি দিয়ে কুশন কভার,
বসার ঘরের কুশনে নেটের ডিজ়াইন ব্যবহার করতে পারেন। কোনওটায় শৌখিন ডিজ়াইন, কোনওটায় আবার পশু-পাখি বা ফুলের মোটিফও বানানো যেতে পারে। মোটা কাপড়টিকে কুশনের উপরে রেখে সেই মাপে সেলাই করে নিন। এবার এর উপরে মশারি বসিয়ে, সেই মতো কেটে নিন। পিছন দিকে চেন লাগিয়ে নিতে হবে। আবার পুরনো কুশনের রং-বদল ঘটাতে পারে মশারি দিয়ে তৈরি ফুল। মশারিকে ভাঁজ করে চৌকো আকার দিন। ফুল তৈরি করতে লম্বা আকারে কাটুন। এক-একটি লম্বা অংশ নিয়ে কুঁচির আকারে এনে, মাঝখানে সেলাই করুন। ফুল তৈরি হওয়ার পরে কুশনের উপরে বসিয়ে সেলাই করুন।
ফেলনা মশারি দিয়ে ব্যাগও বানানো,
এর জন্য মশারি কেটে ১ ফুট বাই ১ ফুট মাপে চার ভাঁজ করে নিন। চার পাশ সেলাই করে জুড়ে দিন। একই আকারের আর একটি চার ভাঁজ করা মশারি পাশে সেলাই করে নিন। এবার এগুলো কাপড়ের মতো জুড়ে সেলাই করে ব্যাগ বানিয়ে স্ট্র্যাপ লাগিয়ে নিন। এ ধরনের ব্যাগে কেনাকাটার সুবিধে হল, বাড়ি ফিরে কেচে নিলে, জল ঝরে শুকিয়ে যাবে তাড়াতাড়ি।
হরেকরকম শৌখিন জিনিস তৈরি,
মশারি দিয়ে দেওয়াল বা দরজায় ঝোলানোর শৌখিন জিনিসও বানানো যায়। মশারি কেটে পছন্দমতো মাছ, ফুল বা পাখির আকার দিন। ফিগার গুলোর ভিতরে তুলো ভরে দিন। গায়ে নানা রঙের সুতো জড়িয়ে দিন। এভাবে কয়েকটি পুতুল বানানো হলে, একটি মোটা সুতো থেকে ফিগারাইনগুলো ঝুলিয়ে দিন। মাঝে মাঝে জুড়ে দিন বিডস। আর একদম নীচে লাগান ছোট্ট একটি ঘণ্টা।
ফেলনা মশারি দিয়ে কাজের জিনিস
অব্যবহৃত মশারি দিয়ে পাপোশও বানিয়ে নেওয়া যেতে পারে। প্রথমে চৌকো অবস্থায় ভাঁজ করে লম্বা আকারে মশারিটি কেটে নিন ছোট ছোট টুকরোয়। তিনটি লম্বা অংশ নিয়ে বিনুনি পাকান। এভাবে অনেক বিনুনি তৈরি হলে, গোলাকার আকারে একটি বিনুনির সাথে অন্যটি সেলাই করতে থাকুন। তৈরি হয়ে যাবে পাপোশ। ছোটখাটো জিনিসপত্র রাখার জন্য মশারি দিয়ে বাস্কেট, লন্ড্রি ব্যাগও বানানো যায়।
বারান্দ বা বাগান যত্নে রাখা,
বাড়ির খোলা বারান্দা বা বাগানে কিংবা ছাদে লাগিয়ে নিয়ে পারেন ব্যালকনি আমব্রেলা। বারান্দা, বাগান বা ছাদের বাগানের কোনও অংশে উপর থেকে তিন দিক জুড়ে মশারি ঝুলিয়ে নীচে শক্ত কিছু চাপা দিন। ঝোলানোটা এমন ভাবে হবে যে, উপর থেকে সরু হয়ে নীচে ছড়িয়ে পড়বে। সেখানে রাখুন দুটি চেয়ার বা মোড়া। ব্যালকনি আমব্রেলার সৌজন্যে চেনা পরিবেশ বদলাতে সময় লাগবে না।