অনলাইন ডেস্ক, ১৩ ডিসেম্বর।। ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিককরণ ও কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়ার সম্মতি দেওয়ায় মরক্কোকে পুরস্কৃত করল যুক্তরাষ্ট্র। বিতর্কিত ভূখণ্ড পশ্চিম সাহারাকে যুক্ত করে মরক্কোর নতুন মানচিত্র গ্রহণ করে নিয়েছে ওয়াশিংটন। এর মধ্যে দিয়ে পশ্চিম সাহারায় মরক্কোর সার্বভৌমত্ব অর্জন অনেকটা নিশ্চিত হয়ে গেল।
শনিবার মরক্কোয় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ডেভিড ফিশার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।কাতারভিত্তিক আলজাজিরার খবর। বার্তা সংস্থা এএফপিকে তিনি বলেন, ‘পশ্চিম সাহারার ওপর মরক্কোর সার্বভৌমত্বকে স্বীকৃতি দিয়ে দুই দিন আগে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাহসী ঘোষণার প্রতিনিধিত্ব করে এই মানচিত্র। ’ মরক্কোর এ নতুন মানচিত্রকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিতে রাজধানী রাবাতে মার্কিন দূতাবাসে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়।
সেখানে মরক্কোর নতুন মানচিত্রে স্বাক্ষর করেন ডেভিড ফিশার। এ মানচিত্র উপহার দেয়া হবে মরক্কোর বাদশাহ ষষ্ঠ মোহাম্মদকে। স্পেনের সাবেক উপনিবেশ পশ্চিম সাহারা অঞ্চল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে আছে উত্তর আফ্রিকা। বিতর্কিত এ ভূখণ্ডটির অধিকাংশই মরক্কোর নিয়ন্ত্রণে। তবে ৭০ এর দশক থেকে পশ্চিম সাহারার স্বাধীনতার জন্য লড়ছে আলজেরিয়া সমর্থিত গোষ্ঠী পোলিসারিও ফ্রন্ট। বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্টের ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় ইসরায়েলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়ার সম্মতি দেয় মরক্কো।
একই প্রক্রিয়ায় এ বছর ইসরায়েলের সঙ্গে চুক্তিতে যায় আরব আমিরাত, বাহরাইন এবং সুদান। এর আগে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক গড়েছিল মিসর ও জর্ডান। কয়েক দশক ধরে পশ্চিম সাহারায় সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠায় চেষ্টা করে আসছিল মরক্কো, যার জন্য প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের মতো কোনো পরাশক্তির স্বীকৃতি অর্জন। ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে সেটি অর্জন হলো মরক্কোর।