স্টাফ রিপোর্টার, বিশালগড়, ১০ ডিসেম্বর।। পিতার জন্য পথ চেয়ে বসে আছে দুই অবুঝ শিশু। চারদিন হয়েছে অপহরণ হয়েছে পিতা। এখন পর্যন্ত কোনো খবর নেই সুবল দেবনাথ এর। সুবল দেবনাথ এর দেড় বছরের শিশু সন্তান সান্তনু দেবনাথ এবং ৮ বছরের মেয়ে ইসমিতা দেবনাথ সারাদিন বাবার জন্য কান্নাকাটি করছে। সুবলের স্ত্রী উমা দেবনাথ বারবার জ্ঞান হারিয়ে ফেলছেন। সারাক্ষণ কান্নাকাটি করছেন স্বামীর জন্য। সুমনের মা প্রশাসনের কাছে আবেদন প্রশাসন ছেলেকে যাতে ফিরিয়ে বাড়িতে আনার ব্যবস্থা করে দেয়। শেষবারের মতো ডিসেম্বর মাসের ১ তারিখ সুবল বাড়িতে এসেছিল। বাড়ি থেকে গিয়েছিল গন্ডাছড়ায় । গত সোমবার উগ্রপন্থীরা অপহরণ করে নিয়ে যায় সুবলকে।
রাত্রিবেলায় পরিবারের কাছে খবর আসে। খবর শোনার পর থেকে একেবারেই মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছেন পরিবারের সবাই। সুবল গন্ডাছড়াতে একটি কোম্পানির অধীনে জেসিপি চালাত। কোন অপরাধ নেই সুবলের। এরপর উগ্রপন্থীরা কেন সুবলকে অপহরণ করে নিয়ে গেল সেই কথাটি বারবার বলে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ছেন সুবলের মা। সুবলের অবুঝ দুই সন্তান এখনো ভালোভাবে বুঝে উঠতে পারছে না বাবা কবে ঘরে ফিরবে? সুবলের মোবাইল সুইচ অফ রয়েছে বলে জানান সুবলের পরিবারের লোকজন। এখন পর্যন্ত উগ্রপন্থিদের তরফ থেকে কোনো ফোন আসেনি বা কোন কিছু খবর আসেনি। বিভিন্ন জায়গায় এবং বিভিন্ন ভাবে গুজব রটানো হচ্ছে যে উগ্রপন্থীরা সুবলের বাড়িতে ফোন করেছে টাকার জন্য। উগ্রপন্থিদের ফোনের বিষয়ে সুবল এর পিতা নারায়ন দেবনাথকে জিজ্ঞেস করা হলে তারা বলেন এমন কোনো ফোন আসেনি।
সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং গুজব। সুবলের আট বছরের কন্যা সন্তান ইসমিতা দেবনাথ দক্ষিণ চরিলাম স্কুলে প্রথম শ্রেণীতে পড়াশোনা করে। সুবল শেষবারের মতো বাড়ি থেকে যাবার সময় মেয়েকে বলে গিয়েছিল অতিদ্রুত আবার ফিরে আসবে। কিন্তু চার দিন পর্যন্ত সুবলের কোন খোঁজ নেই কোন খবর নেই। সুবল যে কোম্পানির অধীনে জেসিপি চালাত সেই কোম্পানির লোকদের সঙ্গে কথা বলার পর তারা জানিয়েছেন তারা চেষ্টা করছেন সুবলকে ফিরিয়ে আনার জন্য। এমনটাই জানিয়েছেন সুবলের পিতা নারায়ন দেবনাথ। এদিকে চার দিন ধরে সুবলের বাড়িতে খাবার দাবার নেই ,ঘুম নেই । প্রতিটি ব্যক্তির চিন্তিত কবে সুবল ঘরে ফিরে আসবে। পরিবারের সবাই প্রশাসনের কাছে কাতর আবেদন রেখেছেন অতি দ্রুত যাতে প্রশাসন এবং সরকার সুবলকে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করে দেয়। সুবল এর বাড়ি দক্ষিণ চরিলাম গ্রামের রেললাইন সংলগ্ন কামরাজ কলোনি এলাকায়।