অনলাইন ডেস্ক, ১০ ডিসেম্বর।। সম্প্রতি দেশজুড়ে ধর্ষণের ঘটনা বেড়েই চলেছে। ধর্ষণ রুখতে আইন আগের থেকে অনেক বেশি কঠোর হয়েছে। কিন্তু তাতেও ধর্ষণ কমছে না। এই পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রীয় জনতা দলের প্রবীণ নেতা এস তিওয়ারি বললেন, বিভিন্ন জায়গায় উত্তেজক বিজ্ঞাপন, আইটেম ডান্স এবং ফোনে সহজলভ্য পর্নোগ্রাফির কারণেই দেশে ধর্ষণ বাড়ছে। আইন যতই কড়া হোক না কেন তাতে যে কোনও লাভ হবে না, সেটা তো সকলেই দেখতে পাচ্ছেন। যদিও তিওয়ারির এই মন্তব্য নিয়ে দেশজুড়ে বিতর্কের ঝড় উঠেছে। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার ঝাড়খণ্ডের দুমকায় ১৭ জন মদ্যপ মিলে এক মহিলাকে ধর্ষণ করে। বৃহস্পতিবার ওই ঘটনা নিয়ে গোটা দেশ জুড়ে তীব্র শোরগোল শুরু হয়েছে।
অনেকেই মনে করছেন, এ ধরনের নৃশংস ও অমানবিক ঘটনা এর আগে কখনও ঘটেনি। এরই মধ্যে আরজেডি নেতার ওই মন্তব্য নতুন করে বিতর্ক তৈরি করেছে। এই প্রবীণ আরজেডি নেতা এদিন বলেন, আদিবাসী এলাকায় ধর্ষণের কথা আগে কেউ কল্পনাও করতে পারত না। কিন্তু আইটেম ডান্স, উত্তেজক বিজ্ঞাপন, ফোনে সহজলভ্য পর্নোগ্রাফি মানুষের মধ্যে ধর্ষণের মানসিকতা তৈরি করছে। তাই কড়া আইন করেও কোনও লাভ নেই। যতদিন না এসব বন্ধ হবে ততদিন ধর্ষণ বন্ধ হবে না। দুমকার ওই ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই গোটা দেশে তীব্র হৈচৈ শুরু হয়েছে। এক মহিলাকে যেভাবে তার স্বামীর সামনেই একে একে ১৭ জন মিলে ধর্ষণ করে তাকে সকলেই পাশবিক বলে আখ্যা দিয়েছেন।
এখানেই শেষ নয় ওই মহিলার স্বামীকে মারধরও করা হয়। এই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করেছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। আরজেডি নেতার ওই মন্তব্য নিয়ে তীব্র বিতর্ক দেখা দিয়েছে। আরজেডি অবশ্য এটাকে তিওয়ারির ব্যক্তিগত মতামত বলে তাঁর সঙ্গে দূরত্ব বাড়ানোর চেষ্টা করেছে। অন্যদিকে ঠারেঠোরে দলের অনেকেই তিওয়ারির সঙ্গে সহমত পোষণ করছেন। তাঁরা মনে করছেন, আজকাল যেভাবে মোবাইল ফোনে পর্নোগ্রাফি দেখা চলছে তাতেই এক শ্রেণির মানুষের মধ্যে এ ধরনের ঘৃণ্য মানসিকতা তৈরি হচ্ছে।