অনলাইন ডেস্ক, ১০ ডিসেম্বর।। নতুন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলন চলছে। উত্তপ্ত দিল্লি। মিলছে না কোনও সমধান সুত্র। সরকারের সঙ্গে কৃষকদের সংগঠনগুলির ষষ্ঠ দফার বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকের পর সর্বভারতীয় কিষাণ সভার সাধারণ সম্পাদক হান্নান মোল্লা জানিয়ে দেন, এই বৈঠক হচ্ছে না।
এরপর কৃষকদের সংগঠনগুলি একযোগে কেন্দ্রীয় সরকারের পাঠানো খসড়া প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে দিল। শুধু তাই নয়, নতুন করে আন্দোলনের ডাক দিয়েছে কৃষকরা।শুধু তাই নয়, দিল্লি-আগরা ও দিল্লি-জয়পুর হাইওয়ে অবরোধের হুশিয়ারি দিয়েছে কৃষক সংগঠনগুলি। তবে এখানে শেষ নয়, আগামিদিনে বিজেপি সদর দফতর ঘেরাও করার হুশিয়ারি দিয়েছে কৃষকরা। ধীরে ধীরে গোটা দেশে আন্দোলন ছড়িয়ে দেওয়ার হুশিয়ারি কৃষকদের।
অন্যদিকে, কৃষক নেতা শিব কুমার কাক্কা জানিয়েছেন, ‘আমরা ১২ ডিসেম্বর দিল্লি-জয়পুর ও দিল্লি-আগরা হাইওয়ে অবরোধ করব। এরপর ১৪ ডিসেম্বর আমরা বিজেপি দফতর ঘেরাও করব। বিজেপি-র নেতা-মন্ত্রীদের বাড়িও ঘেরাও করা হবে। দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ দেখানো হবে। আমরা দেশের অন্যান্য প্রান্ত থেকেও কৃষকদের দিল্লিতে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।’ কাক্কা আরও জানিয়েছেন, ‘সরকার আজ আমাদের কাছে যে প্রস্তাব পাঠায়, তাতে নতুন কিছুই নেই।
সংযুক্ত কিষাণ কমিটি এই প্রস্তাব পুরোপুরি খারিজ করে দিয়েছে।’ অপর এক কৃষক নেতা জঙ্গবীর সিংহ অবশ্য বলেছেন, সরকার যদি নতুন করে কোনও প্রস্তাব পাঠায়, তাহলে তাঁদের সংগঠন সেটা ভেবে দেখতে পারে। অল ইন্ডিয়া কিষাণ সভার সাধারণ সম্পাদক হান্নান মোল্লা জানিয়েছেন, কোনও বৈঠক হবে না। এদিকে, নয়া কৃষি আইন, কৃষক-স্বার্থ বিরোধী। এমনই অভিযোগ কৃষকদের। সেই কারণেই এই আইন বাতিলের দাবি তুলেছেন তাঁরা।
নয়া আইন বাতিলের দাবিতে দিল্লি ঘেরাও রেখেছেন লক্ষ-লক্ষ কৃষক। কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে কয়েক দফা আলোচনা হয়েছে কৃষক সংগঠনের প্রতিনিধিদের। কেন্দ্রের সঙ্গে সেই বৈঠকের প্রত্যেকটিতেই নয়া আইন বাতিলের দাবি জানিয়েছেন কৃষক-নেতারা। যদিও এখনও মেলেনি সমাধান। তবে শেষ বৈঠকে খানিকটা নরম মনোভাব নেয় কেন্দ্র।
নয়া কৃষি আইন বাতিলের পথে না হেঁটেও সেই আইনে কয়েকটি সংশোধনের প্রস্তাব দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, নয়া কৃষি আইন নিয়ে ঘরে-বাইরে প্রবল চাপে আচে মোদী সরকার। কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে কেন্দ্র-বিরোধিতার সুর ক্রমেই চড়া হচ্ছে। কংগ্রেস, বাম, তৃণমূল-সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল কৃষি আইন বাতিলের দাবি তুলেছে।
কৃষকদের আন্দোলনে সমর্থন প্রতিদিন বাড়ছে। চলচ্চিত্র জগৎ, ক্রীড়া জগৎ থেকে শুরু করে সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের খ্যাতনামা ব্যক্তিত্বরা কৃষকদের স্বার্থে আওয়াজ তুলেছেন। কেন্দ্র-বিরোধিতার সুর ক্রমেই চড়া হচ্ছে ভেবেই বাড়তি তৎপরতা কেন্দ্রীয় সরকারের।