অনলাইন ডেস্ক, ৯ ডিসেম্বর।। আইনি গেরোয় নতুন বছরে বেসরকারি কর্মীদের হাতে পাওয়া বেতন বা ‘টেক হোম স্যালারি’র পরিমাণ কমতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। নরেন্দ্র মোদি সরকারের নতুন আইনের কারণেই এটা হতে চলেছে বলে ওয়াকিবহাল মহলের আশঙ্কা। চলতি বছরেই সংসদে নতুন বেতন কাঠামো আইন বা ‘কোড অন ওয়েজেস’ পাস করিয়েছে মোদি সরকার। ২০২১-এর ১ এপ্রিল থেকে এই নতুন আইন কার্যকর হবে। এই আইনে বলা হয়েছে, কোনও ভাতা মোট বেতনের ৫০ শতাংশের বেশি হবে না। যার অর্থ মোট বেতনের ৫০ শতাংশ হতে হবে বেসিক পে বা মূল বেতন। পাল্লা দিয়ে বাড়বে পিএফ বা গ্র্যাচুইটি খাতে জমা করা অর্থের পরিমাণ।
প্রসঙ্গত, ভারতের বেশিরভাগ বেসরকারি সংস্থায় কর্মীদের মোট বেতনের অধিকাংশটাই নানা ভাতা হিসাবে দেওয়া হয়। অনেকটাই কম থাকে বেসিক পে বা মূল বেতন। সুতরাং সেই অনুপাতে প্রভিডেন্ট ফান্ডে টাকা জমা পড়ে। কিন্তু এবার সেই নিয়ম বদলাতে চলেছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বেসরকারি সংস্থাকে বেতনকাঠামো আমূল বদল করতে হবে। করোনাজনিত কারণে বেশিরভাগ বেসরকারি সংস্থাই এবার কর্মীদের বেতন বৃদ্ধি করবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। ফলে বর্তমানে মোট বেতনের অঙ্ক অপরিবর্তিত রেখে নতুন নিয়ম চালু করবে সংস্থাগুলি। আর তাতেই ‘টেক হোম স্যালারি’র পরিমাণ কমবে। কারণ মূল বেতন বাড়লে পিএফ ও গ্র্যাচুইটি খাতে জমা টাকার পরিমাণও বাড়বে।
সেটা কর্মীদের বেতন থেকেই কেটে নেওয়া হবে। তবে এই আইনের একটি ইতিবাচক দিকও রয়েছে। সেটা হল, বর্তমানে কর্মীরা বেতন কম পেলেও নতুন আইন কার্যকর হলে অবসর নেওয়ার সময় কর্মীরা অনেক বেশি টাকা হাতে পাবেন। ফলে অবসর পরবর্তী জীবন অনেক বেশি সুনিশ্চিত হবে তাঁদের।