অনলাইন ডেস্ক, ৯ ডিসেম্বর।। ম্যাচের ফল জুভেন্টাস ৩ বার্সেলোনা ০। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখা হচ্ছে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো ২ লিওনেল মেসি ০! মঙ্গলবার ভারতীয় সময় গভীর রাতে ফুটবলবিশ্বের চোখ ছিল কাম্প নাউ-এ। যেখানে দুই বছর পরে আবার দেখা হয়েছিল দুই তারকার। সেই লড়াইয়ে পর্তুগিজ তারকা ছাপিয়ে গেলেন আর্জেন্তিনীয় মহাতারকাকে। যদিও ম্যাচে একে অপরকে সম্মানই জানিয়েছেন দুই নক্ষত্র। তবে সেই হারে বার্সেলোনার কোনও ক্ষতি হয়নি। আগেই তারা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নক-আউট পর্বে যাওয়া নিশ্চিত করে ফেলেছিল। দেখার ছিল, প্রথম লেগে হারের শোধ নিতে পারে কি না জুভেন্টাস, যে ম্যাচে করোনায় সংক্রমিত হয়ে খেলতেই পারেননি রোনাল্ডো।
মঙ্গলবারের ম্যাচে দেখা গেল, মেসিকে প্রতিপক্ষ দলে দেখার পরেই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠলেন রোনাল্ডো। পেনাল্টি থেকে করলেন জোড়া গোল। আর প্রথমার্ধে সেই ঝড়েই হারিয়ে গেল বার্সেলোনার সমস্ত উদ্যম। ম্যাচের পরে রোনাল্ডো বলেছেন, “এই মাঠে গোল করার মধ্যে একটা আলাদা তৃপ্তি রয়েছে। আমি তা আগের মতোই উপভোগ করছি। ফুটবলজীবনের গত ১২-১৩বছর তো আমি এবং মেসি পরস্পরের বিরুদ্ধে খেলেই কাটিয়ে দিলাম। সত্যি বলতে, মেসির সামনে খেলতে আমি খুব পছন্দ করি।” সেখানেই না থেমে তিনি আরও বলেছেন, “লোকে আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিয়ে বরাবর আলোচনা করে থাকেন।
কিন্তু আমাদের মধ্যে সেই বিষয়টা আদৌ নেই। আমরা একে অপরকে সম্মান করি, তবে এটাও ঠিক মেসির সামনে গোল করাটা আমার খুব পছন্দের ব্যাপার। তাতে আমি একটা আলাদা আনন্দ অনুভব করি। তবে সব সময় তা সম্ভবও হয়ে ওঠে না। কিন্তু নিজেকে তৈরি করে রাখতেই হয়।” ইটালির সমস্ত সংবাদপত্রের শিরোনাম, ‘ক্রিশ্চিয়ানো ইজ দ্য কিং’। তা নিয়ে রোনাল্ডো অবশ্য মাথা ঘামাতে চান না। তিনি বলেছেন, “আমাদের কাছে এই ম্যাচ ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সকলেই এটা মনে রেখেছিল যে, লড়াই হচ্ছে বার্সেলোনার মতো একটা শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে। তাই আমরা ঠিক করেছিলাম, প্রথম ৩০ মিনিটের মধ্যেই গোল করে ফেলতে হবে। সেই লক্ষ্যে আমরা একশো শতাংশ সফল। তবে সতীর্থদেরও অভিনন্দন জানাব। প্রত্যেকে নিজেকে উজাড় করে দিয়েছিল এই ম্যাচে।” ম্যানেজার আন্দ্রেয়া পিরলো বলেছেন, “মাঝমাঠকে শক্তিশালী রেখে আমরা ম্যাচটা নিয়ন্ত্রণ করতে চেয়েছিলাম। সেই পরিকল্পনা সফল হয়েছে। বার্সেলোনা আমাদের সেই ঝোড়ো ফুটবলের সামনে একবারের জন্য মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি। তা ছাড়া গোলের প্রত্যেকটি সুযোগকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছে সকলে। এই মেজাজটা ধরে রাখতে হবে।”