স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ৮ ডিসেম্বর।। ২০১৬ সাল থেকে ভারতীয় জনতা পার্টির প্রদেশ সভাপতি হিসেবে কাজ শুরু করেছেন। ত্রিপুরা বাসির আশীর্বাদে ২০১৮ সালের ৯ মার্চ শপথ গ্রহণ করেন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে। মানুষ বিজেপি ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপর বিশ্বাস করে অভূতপূর্ব রায় দিয়েছে।
শূন্য থেকে বিশ্বাসের সঙ্গে সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে রাজ্যে। সেই সরকারের সম্পূর্ণ বিশ্বাস রাজ্যবাসী মুখ্যমন্ত্রীর উপর রেখেছে। বিভিন্ন উন্নয়নমুখী কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রতিটি ক্ষেত্রে ত্রিপুরা তীব্র গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। প্রতিটি উন্নয়নমুখী কাজের সঙ্গে পরিচিত ছিল রাজ্যের মানুষ। প্রধানমন্ত্রীর আশীর্বাদে ত্রিপুরার মানুষ এগুলি দেখেছে। সময় কম কিন্তু কাজ করার মানসিকতা রয়েছে। পাঁচ বছর একটা সরকারের কাছে সময় থাকে।
সরকারি চাকুরীজীবী নয়। ৩০ বছর চাকরি করার সুযোগ মিলবে। তার জন্য রাতদিন মোদি মন্ত্রে কাজ করতে চান। এরমধ্যে সুবিধা অসুবিধা রয়েছে। কারণ ৪০ বছর একটা সরকার ছিল। তাদের পদ্ধতিতে কাজ করতে আগ্রহী নয় বর্তমান সরকার। প্রধানমন্ত্রী যে ব্যবস্থা দেখিয়েছে সেই ব্যবস্থায় কাজ করে সরকার। এর জন্য এই ব্যবস্থাকে বুঝতে অনেক সময় অসুবিধা হয়। কিন্তু এখন সেই ব্যবস্থায় গতি এসেছে।
মঙ্গলবার মহাকরণে সাংবাদিক সম্মেলন করে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। করোনার মধ্যে ত্রিপুরার অর্থনীতি পিছিয়ে যায় নি। বর্তমানে পজিটিভিটি রেট মাত্র ১ দশমিক ২ শতাংশ। রিকভারি রেট ৯৮ শতাংশ। একসময় ত্রিপুরার স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উপর আঙ্গুল তোলা হয়েছিল। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সমস্ত কিছু প্রমাণিত হচ্ছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। জাতি-ধর্ম দল-মত নির্বিশেষে সকলের জন্য কাজ করতে চান বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। ত্রিপুরাকে সর্বশ্রেষ্ঠ বানাতে চান বলে জানান তিনি।
ত্রিপুরার মানুষ সবকিছু দিয়েছে। কিন্তু গত ৬ ডিসেম্বর রাজ্য অতিথিশালার ঘটনায় তিনি ব্যাথিত। সেইদিন অতিথিশালায় কিছু মানুষ আওয়াজ তুলেছে বিপ্লব হটাও ত্রিপুরা বাঁচাও বলে। এই ঘটনায় ব্যাথিত তিনি। কিন্তু মানুষের কাছ থেকে এই বিষয়ে জানতে চান মুখ্যমন্ত্রী। আর তাই আগামী রবিবার ১৩ ডিসেম্বর দুপুর ২ টায় স্বামী বিবেকানন্দ ময়দানে নিজে যাবেন বলে ঘোষণা দেন। সমস্ত ত্রিপুরাবাসীকে নিবেদন করেন, তারা কি চায়।
মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তিনি থাকবেন, না চলে যাবেন। ৩৭ লক্ষ ত্রিপুরাবাসীর কাছে আহ্বান জানান সেদিন স্বামী বিবেকানন্দ ময়দানে উপস্থিত থাকার জন্য। যে রায় জনতা দেবে তা মাথা পেতে নেবেন। তা পৌঁছে দেবেন হাইকমান্ডের কাছে। চারজন লোক কিছু বললে তা ত্রিপুরার মানুষের রায় কিনা তা জানতে হবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব।