অনলাইন ডেস্ক, ৯ ডিসেম্বর।। মঙ্গলবার অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে শেষ নিয়মরক্ষার টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ভারত হারল ১২ রানে। আগে ব্যাটিং করে অস্ট্রেলিয়ার স্কোর ১৮৬-৫। জবাবে ভারত ২০ ওভারে তোলে ৭ উইকেটে ১৭৪ রান। দুর্দান্ত ৬১ বলে ৮৫ রানের ইনিংস খেললেন অধিনায়ক বিরাট কোহলি। তাতেও হোয়াইটওয়াশ করা গেল না অ্যারন ফিঞ্চের দলকে। তবে এই হার নিয়ে মাথা ঘামাতে রাজি নন কোহলি। বরং তিনি রাতারাতি ঢুকে পড়েছেন টেস্ট ক্রিকেট বৃত্তে। আগামী ১৭ ডিসেম্বর থেকে অ্যাডিলেডে গোলাপি বলে দিনরাতের টেস্ট খেলবে ভারত। যে টেস্টের পরেই দেশে ফিরবেন কোহলি।
ফলে তাঁর অনুপস্থিতিতে দলের রণকৌশল কী হতে পারে, তার প্রথম পরীক্ষা হতে চলেছে অ্যাডিলেডেই। ম্যাচের পরে কোহলি জানিয়েছেন, সীমিত ওভারের ক্রিকেটের সঙ্গে এবার টেস্ট ম্যাচেও বোলিং করতে হবে হার্দিককে। প্রশ্ন উঠছে, চার টেস্টের সিরিজে হার্দিককে কি শুধুমাত্র ব্যাটসম্যান হিসেবেই বিচার করা হবে? কোহলি বলেছেন, “ও যে চোট সারিয়ে ফিরেছিল, তার পরে হার্দিকের পক্ষে বোলিং করা সম্ভব ছিল না। যার কারণে ও আইপিএলে বোলিংও করেনি। তবে আবার বোলিং শুরু করেছে। আর টেস্ট ম্যাচ সম্পূর্ণ আলাদা ধরনের একটা চ্যালেঞ্জ। আমি নিজে মনে করি, হার্দিককে সেই মঞ্চে বোলিং করতে হবে।” কোহলি আরও বলেন, “এই ব্যাপার নিয়ে আমি ওর সঙ্গে কথাও বলেছি। দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ইংল্যান্ডে হার্দিকের বোলিং আমাদের দলের ভারসাম্যকে খুব শক্তিশালী করে দিয়েছিল।
তাই টেস্ট ম্যাচেও আমরা ওর বোলিংকে দীর্ঘমেয়াদি স্তরে কাজে লাগাতে চাই। তাতে দলীয় ভারসাম্য আরও মজবুত হবে বলেই আমার ধারণা। সত্যি বলতে, হার্দিক এমনই এক ক্রিকেটার যে ভারতের হয়ে তিন ধরনের ক্রিকেটেই অনায়াসে খেলে দিতে পারে। তবে টেস্ট ম্যাচে বোলিং করার ক্ষেত্রে আরও কতগুলো বিষয় থাকে। সেটার সঙ্গে হার্দিক কত দ্রুত মানিয়ে নিতে পারবে, তার উপরে সব কিছু নির্ভর করছে।” টেস্ট সিরিজের আগে নিজের ব্যাটিং নিয়েও সন্তুষ্ট কোহলি। বলেছেন, “শুরুর দিকে একটু ছন্দপতন হয়েছিল। সামান্য কিছু পরিবর্তন করার পরে রান আবার আসতে শুরু করেছে। টেস্ট সিরিজের আগে এই বড় রানের ইনিংসগুলো আমার নিজের প্রতি আস্থা বাড়িয়ে দিয়েছে। বলা যেতে পারে, টেস্ট ম্যাচের জন্য আমি তৈরি।”