অনলাইন ডেস্ক, ৭ ডিসেম্বর।। মঙ্গলবার গোটা দেশজুড়ে বনধের ডাক দিয়েছেন আন্দোলনরত কৃষকরা। ইতিমধ্যেই কংগ্রেস-সহ একাধিক রাজনৈতিক দল কৃষকদের এই বনধকে সমর্থন জানিয়েছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এই বনধকে সমর্থন জানানোর ফলে বনধ সফল হবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
কৃষকদের এই বনধের পাশাপাশি ৮ ডিসেম্বর অর্থাৎ মঙ্গলবার সমগ্র উত্তর ভারতে পরিবহণ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে অল ইন্ডিয়া মোটর ট্রান্সপোর্ট কংগ্রেস। উত্তর ভারতে মোট পরিবাহিত পণ্যের ৬০ শতাংশই সড়কপথে হয়।
চাক্কা জ্যামের ফলে উত্তর ভারতে পণ্য পরিবহন সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত হয়ে পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। অল ইন্ডিয়া মোটর ট্রান্সপোর্ট কংগ্রেস যদি তাদের প্রস্তাব মতো লাগাতার কয়েকদিন এই ধর্মঘট চালিয়ে যায় তবে পরিস্থিতির আরও অবনতি হবে। কৃষক আন্দোলন এবং অল ইন্ডিয়া মোটর ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশনের এই চাক্কা জ্যাম এখন মোদি সরকারের কাছে যথেষ্ট বিপদজনক হয়ে উঠেছে। করোনা পরিস্থিতিতে এমনিতেই রাজধানী দিল্লি- সহ দেশের প্রতিটি রাজ্যে সব ধরনের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বেড়েছে।
এরপর ফের যদি নতুন করে দাম বাড়ে তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে। এমনিতেই একাধিক ইস্যুতে নরেন্দ্র মোদি সরকারের উপর মানুষের ক্ষোভ ক্রমশই বাড়ছে। সম্প্রতি পেট্রোল ও ডিজেলের দাম বেড়েই চলেছে। একলাফে রান্নার গ্যাসের দাম বেড়েছে সিলিন্ডার প্রতি ৫০ টাকার বেশি। যা সাধারণ মধ্যবিত্তকে মোদি সরকারের উপর আরও ক্ষুদ্ধ করে তুলেছে।
এই অবস্থায় ফের যদি বনধের কারণে নতুন করে জিনিসপত্রের দাম বাড়ে তবে তা কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের পক্ষে অত্যন্ত কঠিন পরিস্থিতি তৈরি করবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। কৃষকদের উদ্ভূত সমস্যা সমাধান করতে বুধবার ফের কেন্দ্র কৃষক প্রতিনিধি সংগঠনের সঙ্গে আলোচনায় বসছে। এখন গোটা দেশের নজর এই আলোচনার দিকে।