থানার করিতকর্মা পুলিশ অফিসারের ভূমিকায় মনোক্ষুণ্ণ মা

স্টাফ রিপোর্টার, বিশালগড়, ৪ ডিসেম্বর৷৷ দীর্ঘ দেড় বছর যাবৎ ছেলের খুনিদের শাস্তি না পেয়ে অবশেষে হতভাগা মা থানার পুলিশের প্রতি আস্থা হারিয়ে সিপাহীজলা জেলা পুলিশ সুপারের  দ্বারস্থ৷ ঘটনা বক্সনগর্রে পুঠিয়া ৫ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায়৷

ঘটনার বিবরণে জানা যায় গত দেড় বছর পূর্বে পুটিয়া এলাকার বাবুল মিয়ার বহিঃরাজ্যে কলেজ পড়ুয়া ছেলে শরিফ মিয়া বাড়িতে আসে৷ কিন্তু বাড়িতে আসার পর এলাকার কিছু বন্ধুদের সাথে সামান্য বিষয় নিয়ে বাক-বিতণ্ডা হয়৷

একটা সময় তার বহিঃপ্রকাশ ঘটে জানা যায় যাদের সাথে বাক বিতণ্ডা হয়েছে সকলেই ওই এলাকার পাচারকারী হিসেবে পরিচিত৷ শরীফ মিয়ার পরিবারের অভিযোগ তাকে ঘর থেকে  ডেকে নিয়ে উদ্দেশ্য পরিকল্পিত ভাবে বাড়ির পাশেই সীমান্ত এলাকার মধ্যে  পাচারকারী তাকে হাত পা ভেঙ্গে প্রাণে মেরে তারকাটার ভেতরে ফেলে দেয়৷

পরবর্তী সময়ের জানাজানি হতেই সেই  পাঁচজন পাচারকারী সেখান থেকে পালিয়ে যায়৷ পরবর্তী সময়ে তুহিন মিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে প্রথমে কলমচৌড়া থানায় পাঁচজনের নাম দিয়ে খুনের অভিযোগে মামলা করা হয়৷

এরা হলেন শাহ আলম মিয়া, শফিক মিয়া, সোহেল মিয়া, কাবিল মিয়া এবং জুয়েল মিয়া কিন্তু মামলা করার পরে পুলিশ কোনো ভূমিকা নেয়নি৷ পরবর্তী সময়ে পুলিশ আধিকারিকে দ্বারস্থ হয়ে কোন কাজ হয়নি৷ দীর্ঘ দেড় বছর কেটে গেল আজ পর্যন্ত একজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ৷
শেষ পর্যন্ত সেই অসহায় পরিবারের  শরীফ মিয়ার মা রোকিয়া খাতুন থানার প্রতি আস্থা হারিয়ে সিপাহীজলা জেলা পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হয়৷ সেই হতভাগা মা ছেলের খুনীদের শাস্তির দাবিতে কান্নায় ভেঙে পড়েন৷

নিত্যদিন সেই ছেলের কবরের পাশে দাঁড়িয়ে কান্নায় অবস্থায় অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তি দাবি রাখে৷ এখন দেখার বিষয় পুলিশ সুপার কি ভূমিকা নেয়৷ জানা যায় সেই  শরিফ মিয়া বহিঃরাজ্যে বিএড করার জন্য গিয়েছিল ছুটিতে আসার পর সেই ঘটনা ঘটে৷

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

চ্যাট খুলুন
1
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠান
হেলো, 👋
natun.in আপনাকে কিভাবে সহায়তা করতে পারে?