স্টাফ রিপোর্টার, বিশ্রামগঞ্জ, ১ ডিসেম্বর।। পর্যটন এখন একটা শিল্প৷ তাই পর্যটনকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে৷ এই শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যেতে রাজ্য সরকার একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে৷ আজ সকালে বিশ্রামগঞ্জে পাথালিয়াঘাটের রুং থাং ইকোপার্কে নবনির্মিত সালকা ক্যাফেটোরিয়ার উদ্বোধন করে উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মা এই কথা বলেন৷ তিনি আরও বলেন, প্রাক’তিক সৌন্দর্যে ভরপুর এই ত্রিপুরা৷ বন ভিত্তি করেই পর্যটনকে আমাদের সাজিয়ে তুলতে হবে৷ এজন্য গ্রামোন্নয়ন দপ্তর, বন দপ্তর এবং ত্রিপুরা পর্যটন উন্নয়ন নিগমকে একসাথে কাজ করতে হবে৷ এই রাজ্যটি ছোট আকারের হলেও এখানে রয়েছে রাজাদের ঐতিহাসিক স্থাপত্য, ধর্মীয় পর্যটন কেন্দ্র এবং প্রাক’তিক পর্যটন কেন্দ্র৷ পর্যটনের এই তিনটি বিভাগকে ভিত্তি করেই রাজ্যকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে৷ তিনি বলেন, বনের মনোরম প্রাক’তিক পরিবেশই এই রাজ্যের পর্যটন শিল্পকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে৷ এজন্য কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার প্রয়োজনীয় অর্থও বরাদ্দ করছে৷
প্রধান অতিথির ভাষণে পর্যটন দপ্তরের মন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায় বলেন, রাজ্যের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলিকে নতুনভাবে রাজ্য সরকার সাজিয়ে তুলছে যাতে পর্যটনকে ভিত্তি করে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটে৷ রাজ্যের প্রতিটি মহকুমাতে একটি করে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তুলতে চাইছে সরকার৷ রাজ্যের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার ইতিমধ্যে প্রায় ৮০ কোটি টাকার বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে কাজ করছে৷ ডুম্বর জলাশয়ের জন্য আরও চারটি ওয়াটার সুকটার আনার ব্যবস্থা করছে সরকার৷ পর্যটন শিল্পের মাধ্যমে যাতে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয় সরকার সেই পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে৷ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির ভাষণে বন দপ্তরের মন্ত্রী মেবার কুমার জমাতিয়া বলেন, বন দপ্তর বিভিন্ন নতুন কর্মসূচি নিয়ে কাজ করছে৷ এরমধ্যে ইকো ট্যুরিজম অন্যতম৷ বন দপ্তর ইতিমধ্যে বাইসন পয়েন্ট, এলিফেন্ট পয়েন্ট, চশমা বানর ছাড়াও বিভিন্ন বন্য পশু পক্ষীদের দেখার জন্য ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণের কাজ হাতে নিয়েছে৷ বন দপ্তর এবং পর্যটন উন্নয়ন নিগমকে একসাথে কাজ করতে হবে৷ রাত্রিযাপনের মাধ্যমে রাজ্যের পর্যটন কেন্দ্রগুলিকে বহির্রাজ্যের পর্যটকদের কাছে আরও আক’ষ্ট করা যেতে পারে বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন৷
অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ রাখেন ত্রিপুরা পর্যটন উন্নয়ন নিগমের ম্যানেজিং ডিরেক্টর রাভাল হেমেন্দ্র কুমার৷ অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রধান মুখ্য বন সংরক্ষক রামেশ্বর দাস৷ অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিপাহীজলা জেলার জেলাশাসক বিশ্বশ্রী বি, জেলা বন আধিকারিক অনিমেষ দাস, ত্রিপুরা পর্যটন উন্নয়ন নিগমের আধিকারিক দিলীপ দেববর্মা, মৃণাল কান্তি দাস সহ বন দপ্তরের আধিকারিকগণ৷ ত্রিপুরা পর্যটন উন্নয়ন নিগমের নতুন ক্যাফেটোরিয়া পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জে এফ এম সি-র সালকাকে৷ এই ক্যাফেটোরিয়া নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৪৮ লক্ষ টাকা৷