স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ২ ডিসেম্বর।। পার্বত্য চট্টগ্রাম-ত্রিপুরা সীমান্ত দিয়ে রোহিঙ্গাদের ভারতে অনুপ্রবেশ নিয়ে ত্রিপুরা ও মেঘালয়ের প্রাক্তন রাজ্যপাল তথাগত রায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এক টুইট বার্তায় অসম থেকে প্রকাশিত দৈনিক যুগশঙ্খ পত্রিকার উদ্বৃতি দিয়ে তিনি বলেন, রোহিঙ্গা কট্টরপন্থী মুসলমান-রা মিয়ানমারে বৌদ্ধিস্ট সংখ্যাগরিষ্ঠদের জন্য হুমকি-র কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাঁর কথায়, বাংলা দৈনিক-র প্রতিবেদন অনুসারে রোহিঙ্গারা পার্বত্য চট্টগ্রাম-ত্রিপুরা সীমান্তের মাধ্যমে ভারতে প্রবেশ করছে। তাঁরা সকলেই কট্টরপন্থী মুসলমান যাদের মায়ানমার তাড়িয়ে দিয়েছে। কারণ তারা বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠদের জন্যও হুমকি তৈরি করেছিল।
বিএসএফ-র অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত, উদ্বেগের সুরে বলেন তিনি। রোহিঙ্গা এখন উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জন্যও গভীর চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) ত্রিপুরা ফ্রন্টিয়ার-র তথ্য অনুসারে, ভারত-বাংলা আন্তর্জাতিক সীমান্তে ১৩০ জন অবৈধ অনুপ্রবেশকারী-কে গত ১১ মাসে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৮৬ জন ভারতীয় এবং ৪৪ বাংলাদেশি নাগরিক রয়েছেন। প্রসঙ্গত, ত্রিপুরায় মোট ৮৫৬ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ইন্দো-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমানা রয়েছে। ওই সীমান্ত ৪টি সেক্টর সদর দফতরের অধীনে ১৮টি বিএসএফ ব্যাটালিয়ন দ্বারা সুরক্ষিত রয়েছে। ইতিপূর্বেও ত্রিপুরা পুলিশ রোহিঙ্গা আটক করেছে। গত ২৪ নভেম্বর আগরতলা – নয়াদিল্লি স্পেশাল রাজধানী এক্সপ্রেসের টিকিট দেখার সময় বদরপুর থেকে ট্রেনে উঠে আসা ১৪ জন যাত্রী কোনও ভারতীয় নাগরিক হওয়ার কোনও আইনগত দলিল বা পরিচয়পত্র না থাকার কারণে ট্রেনের ট্রেন সুপারিন্টেন্ডেন্ট (টিএস) সনাক্ত করেছিলেন।
টিকিটের বিশদ তথ্য থেকে জানা যায় তারা ভুয়া নাম ট্রেন সফর করছিলেন। রেল প্রোটেকশন ফোর্স (আরপিএফ) নিউ জলপাইগুড়িতে তাদের আটক করেন এবং জিজ্ঞাসাবাদের সময় দেখা গেছে তারা সকলেই বাংলাদেশের কক্সবাজারের শরণার্থী শিবির থেকে পালিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছে। রোহিঙ্গা হিসেবে শনাক্ত হওয়ার পর তাদের বিরুদ্ধে জিআরপি মামলা নিয়েছে এবং আদালতে সোপর্দ করেছে। আদালত তাদের জেল হেফাজতে পাঠিয়েছে।এই সমস্ত বিক্ষিপ্ত ঘটনা থেকে তথাগত রায় উদ্বিগ্ন হওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে বলে মনে করা হয়েছে। কারণ, উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বিশেষ করে অসম এবং ত্রিপুরায় বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী ছেয়ে গেছে। তার মধ্যে রোহিঙ্গা-র অনুপ্রবেশ নতুন করে চিন্তার বিষয় বলেই মনে করা অস্বাভাবিক নয়।