অনলাইন ডেস্ক, ২৯ নভেম্বর।। করোনাজনিত পরিস্থিতিতে আত্মনির্ভর ভারত গড়ার ডাক দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। জোর দিয়েছেন ভোকাল ভোকাল স্লোগানের উপর। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির চিন্তাভাবনা মতই রেলমন্ত্রক দেশে বুলেট ট্রেন উৎপাদনের ক্ষেত্রে ৭২ শতাংশ বরাত বিভিন্ন দেশীয় সংস্থাকে দিতে চলেছে। অর্থাৎ মুম্বই- আহমেদাবাদের মধ্যে যে বুলেট ট্রেন পরিষেবা চালু হবে তার দুই-তৃতীয়াংশ বরাত পেতে চলেছে বিভিন্ন দেশীয় সংস্থা। রেলমন্ত্রক জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর আত্মনির্ভর ভারত প্রকল্পের সঙ্গে এভাবেই তারা যুক্ত হতে চায়। রবিবার রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান ভি কে যাদব বলেন, ইতিমধ্যেই সিগনালিং ও একাধিক সেতুর টেকনিক্যাল কাজ বিভিন্ন ভারতীয় সংস্থাকে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে জাপানের কয়েকটি সংস্থা টেলিকম ও রোলিং স্টকের কাজ শুরু করেছে। এদিন বণিকসভার এক অনুষ্ঠানে রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান যাদব জানান, ৫০৮ কিলোমিটার এই হাই স্পিড রেল করিডরের জন্য ১.১০ লক্ষ কোটি টাকা খরচ ধার্য করা হয়েছে।
এই রেলপথ তৈরি করতে ১৩৭৯ হেক্টর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। এই জমির ৭২৪.১৩ হেক্টর রয়েছে গুজরাতে। এই জমি ব্যক্তিগত মালিকানাধীন। অন্যদিকে মহারাষ্ট্রে রয়েছে ২৭০.৬৫ হেক্টর জমি। রাজ্যের পালঘর জেলাতেই রয়েছে ১৮৮ হেক্টর। ওই এলাকায় ইতিমধ্যেই সাধারণ বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। তাদের যা ক্ষয়ক্ষতি হবে সরকার সেটা পূরণ করে দেবে। উল্লেখ্য, ২০২৩-এ এই বুলেট ট্রেন প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এই মুহূর্তে জমি অধিগ্রহণের কাজই পুরোপুরি শেষ হয়নি। দরপত্র খোলার ক্ষেত্রেও একই অবস্থা ফলে প্রকল্পের কাজ শেষ হতে আরও বেশ কিছুটা দেরি হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। এই প্রকল্পে প্রয়োজনীয় জমির মাত্র ৬৩ শতাংশ পর্যন্ত অধিগ্রহণ হয়েছে। এ প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা আধিকারিকরা জানিয়েছেন, মহারাষ্ট্রের পালঘর এবং গুজরাতের নবসারিতে জমি এখনও অধিগ্রহণ করা হয়নি। দরপত্র আহ্বান করা হলেও করোনা পরিস্থিতির কারণে সেগুলি এখনও খোলা সম্ভব হয়নি। হাই স্পিড রেল ওয়ে কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ২০২৩-এ এই প্রকল্প শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে করোনাজনিত কারণে এই সময়সীমার পিছতে পারে বলে অনুমান।