স্টাফ রিপোর্টার, তেলিয়ামুড়া, ১৮ নভেম্বর৷৷ তেলিয়ামুড়া মহুকুমার মুঙ্গিয়াকামি ব্লকের অধীনে নুনাছড়া এডিসি ভিলেজের প্রজা বাহাদুর মলসুম পাড়ায় ঘরে ঘরে সর্দি কাশি জ্বর এবং গলা ব্যথা নিয়ে অসুস্থ অবস্থায় পড়ে আছেন বিনা চিকিৎসায় শিশু থেকে বয়স্ক এলাকাবাসী৷
বেশ কিছুদিন ধরে এ ঘটনা ঘটে থাকলেও হেলদোল নেই স্থানীয় স্বাস্থ্য দপ্তরের৷ এমনকি খবর নেই তেলিয়ামুড়া মহুকুমা চিকিৎসা আধিকারিক এর দপ্তরেও৷ যার খেসারত দিতে হয়েছে ওই এলাকার ১৫ বছর বয়সের এক যুবতীকে৷
দীর্ঘদিন অসুস্থ অবস্থায় বিনাচিকিৎসায় ঘরে পরে থেকে শেষ পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করল এই যুবতী গত ১৫ ই নভেম্বর৷ শুধু তাই নয় জ্বর সর্দি কাশি এবং গলা ব্যথা নিয়ে দীর্ঘদিন বিনাচিকিৎসায় ঘরে পড়ে থেকে আগর নন্দ মলসুম নামে এক ৭০ বছরের বৃদ্ধও প্রাণ হারায় এর মধ্যেই৷ কিন্তু এতো কিছু হয়ে গেলেও ওই এলাকায় থাকা উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের স্বাস্থ্যকর্মীরা কোন কিছুর খবরই রাখেনি৷
এমনকি ওই এলাকায় অবস্থানরত আশা কর্মী তার নিজের কাছেও এমন কোনো খবর নেই৷ এদিকে দু-দুটি মৃত্যুর পর গোটা এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে৷ কারণ কিছুদিনের মধ্যেই করোনা মহামারী ব্যাপক রূপ নিয়েছিল৷ এছাড়া ওই এলাকার জুম চাষী ও দিন মজুর শ্রমিকদের পক্ষে কোনভাবেই হাজার বারোশো টাকা গাড়ি রিজার্ভ করে শহর এলাকায় এসে চিকিৎসা করানো কোনভাবে সম্ভব নয়৷ এমনটাই জানালেন এক জুমিয়া৷
তাদের অভিযোগ স্বাস্থ্যকর্মীরা সঠিকভাবে ওই এলাকার স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সফর করেন না৷ গেলেও গ্রামের কোন খবরা-খবর উনারা রাখেন না৷ কোন ধরনের ঔষধের ব্যবস্থা নেই ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে৷ এছাড়াও বিস্তর অভিযোগ রয়েছে ওই স্বাস্থ্য কেন্দ্রের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীদের৷ এখন প্রশ্ণ যদি এইভাবে এলাকায় রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকে তাহলে আর দেরি নয় বিগত দিনের মতো আবারো মৃত্যুর মিছিল লেগে যাবে ওই প্রত্যন্ত এলাকায়৷ এলাকাবাসীর দাবি অতিসত্বর ওই এলাকার স্বাস্থ্য কেন্দ্রের দিকে নজর দিক দপ্তর৷