অবসর‌প্রাপ্ত পুলিশকর্মী সহ তার দলবলের হাতে আক্রান্ত এএসআই

স্টাফ রিপোর্টার, বিলোনিয়া, ১৭ নভেম্বর।। অবসর‌প্রাপ্ত পুলিশ কর্মীর সহ তার দলবলের হাতে আক্রান্ত বিলোনিয়া থানার সহকারী সাব ইন্সপেক্টর স্বপন সেন । ঘটনা সোমবার রাতে বিলোনিয়া থানার ভারতচন্দ্র নগর ব্লকের সুকান্ত নগর পঞ্চায়েতের ড্রপগেইট এলাকায় ।

ঘটনার বিবরণে জানা যায় কালী পুজার দশমীর নামে বিলোনিয়া ড্রপ গেট এলাকার বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মী কিরন বিশ্বাসের বাড়িতে গভীর রাত পর্যন্ত অতিরিক্ত সাউন্ডে বক্স বাজানো হচ্ছিল। এতে অতিষ্ঠ হয়ে এলাকার লোকজন বিলোনিয়া থানাতে খবর দেয়।

তখন মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের নির্দেশে কর্তব্যরত অবস্থায় থাকা বিলোনিয়া থানার এএসআই স্বপন সেন টিএসআর বাহিনীকে নিয়ে ছুটে যান ড্রপ গেট এলাকার বাসিন্দা প্রাক্তন পুলিশ কনস্টেবল কিরণ বিশ্বাসের বাড়িতে। সেখানে গিয়ে বক্স বন্ধ রাখার জন্য বলেন এএসআই স্বপন সেন । এতে কিরণ বিশ্বাস ক্ষিপ্ত হয়ে এএসআই স্বপন সেনের সাথে বাক যুদ্ধে লিপ্ত হয়ে পড়েন। কিরণ বিশ্বাস স্পষ্ট জানিয়ে দেন বক্স বন্ধ করা হবে না। এই কথা শোনার পর এএসআই স্বপন সেন প্রশ্ন করেন কার অনুমতিতে বক্স বাজানো হচ্ছে ।

এই কথা বলার পরই কিরণ বিশ্বাস হামলে পড়ে এএসআই স্বপন সেনের উপর। পাশাপাশি কিরণ বিশ্বাসের দুই ছেলে কিশোর বিশ্বাস ও কৌশিক বিশ্বাসও বেধড়ক ভাবে এএসআই স্বপন সেনকে মারধর শুরু করে বলে অভিযোগ। ঘটনা প্রত্যক্ষ করে টিএসআর বাহিনী এএসআই স্বপন সেনকে আক্রমণের হাত থেকে বাঁচাতে এগিয়ে যায়। তখন তাদের উপরও আক্রমণ চালানো হয়।

অভিযুক্তরা একটা সময় এএসআই স্বপন সেনকে মারতে মারতে ড্রেইনে নিয়ে ফেলে দেয়। ছিনিয়ে নেওয়া হয় পুলিশের ডায়েরি ,কলম ও পকেটে থাকা ফাইন মানি 20 হাজার টাকা। এই ঘটনার খবর পেয়ে মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। আহত এএসআই স্বপন সেনকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় বিলোনিয়া হাসপাতালে। কিন্তু হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক রাতেই তাঁকে গোমতী জেলা হাসপাতালে স্থানান্তর করে দেন ।

এদিকে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে যাওয়ার পর অভিযুক্তরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। তবে পুলিশ অভিযুক্ত অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মী কিরন বিশ্বাসকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। থানায় নিয়ে আসার পর কিরণ বিশ্বাস অসুস্থতা বোধ করায় তাকে বিলোনিয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরবর্তী সময় তাকেও গোমতী জেলা হাসপাতালে স্থানান্তর করে দেওয়া হয় ।

ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য বিরাজ করছে। জানা যায় অভিযুক্ত কিরন বিশ্বাস নিজেকে শাসক দলের নেতা হিসাবে পরিচয় দেয়। এলাকায় সে বাহুবলি নেতা হিসাবে পরিচিত। একজন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মীর এহেন কর্মকাণ্ডকে কেন্দ্র করে এলাকায় সমালোচনার ঝড় বইছে। দাবি উঠেছে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের।

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

চ্যাট খুলুন
1
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠান
হেলো, 👋
natun.in আপনাকে কিভাবে সহায়তা করতে পারে?