স্টাফ রিপোর্টার, কাঞ্চনপুর, ১৬ নভেম্বর।। ব্রু শরণার্থী পুনর্বাসনে প্রতিশ্রুতি খেলাপের অভিযোগ এনে কাঞ্চনপুর মহকুমায় অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট পালন করছে জয়েন্ট মুভমেন্ট কমিটি। সকাল থেকেই আজ মহকুমা জুড়ে বাজারহাট, দোকানপাট, যানবাহন চলাচল, অফিস-আদালত বন্ধ রয়েছে।
শান্তিপূর্ণভাবেই ধর্মঘট পালিত হচ্ছে বলে দাবি করেছেন নাগরিক সুরক্ষা মঞ্চের দসভাপতি রঞ্জিত নাথ। দুই দশকের অধিক সময় ধরে ব্রু শরণার্থী সমস্যার সমাধানে তাঁদের পুনর্বাসনের দায়িত্ব নিয়েছে ত্রিপুরা সরকার। প্রায় ৫ সহস্রাধিক ব্রু শরণার্থী পরিবারের পুনর্বাসনের স্থায়ী সমাধানে ত্রিপুরা সরকার ৮ জেলা-কে বাছাই করার ঘোষণা দিয়েছিল।
প্রতিশ্রুতি ছিল, তাঁদের-কে ৮ জেলায় স্থান চিহ্নিত করে পুনর্বাসন দেওয়া হবে। কিন্তু, তাদের সকল-কে কাঞ্চনপুর মহকুমায় পুনর্বাসন দেওয়া হচ্ছে বলে আপত্তি জানিয়েছে জয়েন্ট মুভমেন্ট কমিটি। তাই, আজ থেকে কাঞ্চনপুর মহকুমায় অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট পালন করা হচ্ছে। রঞ্জিত নাথের কথায়, সকালে কাঞ্চনপুর মহকুমা শাসক-কে অফিসে যেতে বাধা দেইনি আমরা।
তবে, তাঁর কাছে আমাদের দাবিগুলি পুনরায় তুলে দিয়েছি। তিনি বলেন, ব্রু শরণার্থী-দের ত্রিপুরায় আশ্রয় দেওয়ার পর থেকে মিজো এবং বাঙালি ৬০০ পরিবার ১২টি গ্রাম থেকে উচ্ছেদ হয়েছেন। তাঁদের ক্ষতিপূরণ সহ পুনর্বাসনের দাবি পুনরায় জানানো হয়েছে। তাছাড়া, কাঞ্চনপুর মহকুমায় সর্বোচ্চ ৫০০ ব্রু পরিবার-কে পুনর্বাসনে আপত্তি নেই বলে জানিয়েছি।
তিনি বলেন, পুনর্বাসন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য বিদ্যুৎ এবং পানীয় জল ও স্বাস্থ্যবিধান দফতর দরপত্র আহ্বান করেছে। ওই দরপত্র অবিলম্বে বাতিল করা হলে রেশন দোকান এবং স্কুল ধর্মঘটের আওতার বাইরে রাখা হবে। তাঁর সাফ কথা, ত্রিপুরা সরকার ব্রু শরণার্থীদের রাজ্যে পুনর্বাসন দিতে চাইছে তাতে আমাদের কোন আপত্তি নেই।
কিন্তু, তাদের পুনর্বাসনে শুধুমাত্র কাঞ্চনপুর মহকুমা-কে বাছাই করা মেনে নেওয়া যাবে না। তিনি বলেন, প্রতিশ্রুতি অনুযায়ি সারা ত্রিপুরায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে তাদের পুনর্বাসন দেওয়া হোক। কাঞ্চনপুরবাসীর স্বার্থে ওই দাবি মানতেই হবে। নয়তো, অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হবে না, হুঁশিয়ারি দেন তিনি।