অনলাইন ডেস্ক, ১৩ নভেম্বর।। পায়ের চোট উপেক্ষা করে তিনি দেশের জার্সিতে মাঠে নামলেন। গোলও করলেন। কিন্তু ভার প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে সেই গোল বাতিল করে দিলেন রেফারি। বিশ্বকাপ যোগ্যতা অর্দন পর্বের ম্যাচে লিওনেল মেসির আর্জেন্তিনা ১-১ গোলে আটকে গেল প্যারাগুয়ের বিরুদ্ধে।
ম্যাচের ২১ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে প্যারাগুয়েকে এগিয়ে দেন আঙ্খেল রোমেরো। এই নিয়ে তিন ম্যাচেই গোল পেলেন তিনি। তবে বিরতির আগেই সমতা ফেরে। ৪১ মিনিটে নিকোলাস গনসালেস গোল করে আর্জেন্তিনাকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন।
তার পরেও বেশ কিছু সুযোগ তৈরি হয়েছিল, তা কাজে লাগাতে পারেননি আর্জেন্তিনার ফুটবলাররা। যা নিয়ে ম্যাচের পরে নিকোলাস ওতামেন্দি বলেছেন, “প্রথমার্ধে আমরা কিছুটা অস্বস্তির মধ্যে ছিলাম। পাসিংটা মোটেও ঠিক হয়নি। পরে দ্বিতীয়ার্ধে আমরা অনেকটা জায়গা নিয়ে খেলা শুরু করায় কাজ সহজ হয়ে যায়। ওই সময় বেশ কয়েকটা গোলের সুযোগও তৈরি হয়েছিল। আমরা তা কাজে লাগাতে পারিনি।” তবে ড্র-এর দিনে আর্জেন্তিনা শিবিরের চাপ বাড়িয়ে দিয়ে গেলেন মিডফিল্ডার এক্সেকিয়েল পালাসিওস।
প্যারাগুয়ে ফুটবলার রোমেরোর সঙ্গে সংঘাতে তিনি বাঁ পায়ের হাঁটুতে গুরুতর চোট পেয়ে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন। বায়ার লেভারকুসেনে খেলা পালাসিও-কে বেশ কয়েক মাস মাঠের বাইরেই হয়তো থাকতে হতে পারে। ম্যানেজার লিওনেল স্কালোনি বলেছেন, “ওর চোট গুরুতর বলেই মনে হল। চিকিৎৎসকদের সঙ্গে কথা বলে মনে হয়েছে, অন্তত কয়েক মাস মাঠের বাইরে থাকতে হবে পালাসিওকে।
আমাদের কাজটা কঠিন হয়ে গেল।” ভার প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে মেসির গোল নাকচ করা নিয়েও খুশি হতে পারেননি স্কালোনি। তিনি বলেছেন, “আমার মনে হয় এই প্রযুক্তি ব্যবহার করার ক্ষেত্রে আরও বেশি সতর্ক এবং নিরপেক্ষতা বজায় রাখা দরকার।
ভার প্রযুক্তির ব্যবহার ফুটবলের জন্য কতটা ভাল অথবা কতটা খারাপ, তা নিয়ে আমি কোনও মন্তব্য করতে চাই না। তবে সব ক্ষেত্রেই সমান নিয়ম এবং ভারসাম্য বজায় রাখা দরকার। আমাদের দল জয়ের ন্যায্য দাবিদার ছিল। আশা করি, পরের ম্যাচে আমরা জয়ের পথে ফিরে আসতে পারব।”