অনলাইন ডেস্ক, ৫ নভেম্বর।।কোভিড আক্রান্তের ক্ষতির মাত্রাকে অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণ করছে ফ্লু ভ্যাক্সিন। সম্প্রতি এমনটাই দাবি ফ্লোরিডার বিশেষজ্ঞরা। গবেষণা নয়, রীতিমতো দু’হাজার করোনা আক্রান্তকে পর্যবেক্ষণ করে এমন সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন ইউনিভার্সিটি অফ ফ্লোরিডার কমিউনিটি হেলথ অ্যান্ড ফ্যামিলি মেডিসিন বিভাগের গবেষক দল।
গত মার্চ থেকে আগস্ট মাসের মধ্যে করোনায় আক্রান্ত এই দু’হাজার রোগীর উপর সমীক্ষা করে জানা গিয়েছে, এঁদের মাত্র ১০ শতাংশ আগে থেকে ফ্লু ভ্যাক্সিন নিয়েছিলেন। ইলেক্ট্রনিক হেলথ রেকর্ডস অনুযায়ী, যাঁরা অন্তত গত বছরেও ইনফ্লুয়েঞ্জা ভ্যাক্সিন নিয়েছেন তাঁরা করোনা পজিটিভ হলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন পড়েনি। এঁদের মধ্যে কেউ কেউ হাসপাতালে ভর্তি হলেও আইসিউ অবধি পৌঁছতে হয়নি। সাধারণ বেডে চিকিৎসার মাধ্যমেই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন তাঁরা।
প্রসঙ্গত, করোনা ও ইনফ্লুয়েঞ্জা সম্পূর্ণ দু’টো ভিন্ন ভাইরাস। তবে এদের উপসর্গ বেশ কিছুন ক্ষেত্রে এক। যদিও সাধারণ ফ্লু-এর তুলনায় কোভিড-১৯-এ মৃত্যুর হার অনেক বেশি। সেই সঙ্গে কোভিড জয়ের পরেও লাং, হার্ট, ব্রেনের ক্ষতি দীর্ঘস্থায়ী হয়, যা ফ্লু-এ হয় না। তবে, ফ্লু ভ্যাক্সিন কী উপায়ে করোনার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলছে, তা এখনও জানাতে পারেননি গবেষকরা। তাঁদের অনুমান, ফ্লু ভ্যাক্সিন দেহের প্রাকৃতিক ঘাতক কোষের সক্রিয়তা বাড়ায়। দেহের এই সক্রিয় কোষগুলোই ভাইরাস আক্রান্ত কোষের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে।