অনলাইন ডেস্ক, ৩ নভেম্বর।। দুএকটি ছোটখাটো বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া মোটের উপর বিহার বিধানসভার দ্বিতীয় পর্বের ভোট শান্তিতেই মিটল। মঙ্গলবার বিহারের ১৭ টি জেলার ৯৪ টি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট নেওয়া হয়। সন্ধ্যে সাতটা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলেছে। কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এদিন সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত প্রায় ৫৩.৫১ শতাংশ ভোট পড়েছে। তবে সব কেন্দ্র থেকে খবর আসার পর ভোটদানের হার আরও কিছুটা বাড়তে পারে। এদিন সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে মুজফফরপুরে। এরপর ভোট পড়েছে যথাক্রমে পশ্চিম চম্পারণ, খাগারিয়া, সমস্তিপুর, বৈশালী, সারন, বেগুসরাই, ভাগলপুর, নালন্দা, পূর্ব চম্পারণ প্রভৃতি কেন্দ্রে। দ্বিতীয় দফায় বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট ব্যক্তি ভোট দিয়েছেন।
এর মধ্যে রয়েছেন লালুপ্রসাদের স্ত্রী রাবড়ি দেবী। এদিন তিনি ছেলে তেজস্বীর সঙ্গে ভোট দিতে গিয়েছিলেন। ভোট দিয়ে বেরিয়ে এসে বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়ি দেবী বলেন, এবার আরজেডি ক্ষমতায় আসছে। মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী কুমার চৌবে, আর কে সিংও এদিন ভোট দেন। করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই বিহার বিধানসভা নির্বাচন হচ্ছে। তবে প্রথম দফার তুলনায় এদিন ভোট গ্রহণের কাজ আরো মসৃণ গতিতে এগিয়েছে। ৯৪ টি কেন্দ্রের কোনও জায়গা থেকেই বড় মাপের কোন গন্ডগোলের খবর আসেনি।
এদিন সকালে কয়েকটি কেন্দ্রে ইভিএমে গোলযোগের খবর পাওয়া যায়। কমিশনের পক্ষ থেকে অবশ্য সেগুলি দ্রুত বদলে দেওয়া হয়। পরবর্তী ক্ষেত্রে শান্তিপূর্ণভাবেই নির্বাচন এগিয়েছে। পাশাপাশি বিহারের তৃতীয় ও শেষ দফার প্রচার চলছে জোরকদমে।আরজেডি-কংগ্রেস এবং বিজেপি-জেডিইউ জোটের মধ্যে মূল লড়াই হচ্ছে। এদিন মধুবনীতে এক সভায় মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার যখন বক্তব্য রাখছিলেন সে সময় তাঁকে লক্ষ করে পিঁয়াজ ছোঁড়া হয়। অন্যদিকে এদিন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী যথারীতি কৃষকদের অধিকার নিয়ে সরব হয়েছেন। রাহুল এদিন বলেন,নীতীশ সরকার কৃষকদের জন্য কিছুই করেনি। রাজ্যে কংগ্রেস ক্ষমতায় আসলে কৃষকদের উন্নতিতে তাঁরা একাধিক ব্যবস্থা নেবেন।