স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ৩ নভেম্বর।। এবার ব্যাংকে লোন সুদ সমেত কিস্তির টাকা স্থগিত করার এজেন্ডা নিয়ে আন্দোলনমুখী হল চাকরীচ্যুত শিক্ষকরা। চাকরি স্থায়ী সমাধানে দাবিতে দীর্ঘ টালবাহানার পর অবশেষে মুখ্যমন্ত্রীর সাথে আলোচনা করে গত একমাস যাবত আন্দোলন আপাতত স্থগিত রেখেছিল চাকরিচ্যুত শিক্ষকরা। কিন্তু তাদের ব্যাংকে ঋন পরিশোধ করতে না পেরে মঙ্গলবার ব্যাংকের সামনে আন্দোলনমুখী হয়েছে চাকরিচ্যুত শিক্ষক শিক্ষকরা। চাকরীচ্যুত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের দাবি অনেকটা মর্জিমাফিক মন গড়া। কারণ দাবি যতদিন না পর্যন্ত সরকার চাকরিচ্যুত শিক্ষকদের জন্য কোন স্থায়ী সমাধান করছে সরকার ততদিন যাতে সে সমস্ত চাকরিচ্যুত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের লোন সুদ সমেত কিস্তির টাকা স্থগিত রাখতে দাবি জানানো হয়।
যা হয়তো ভূভারতে নেই। কোন ব্যাংক যখন গ্রাহকদের ঋণ প্রদান করে তখন সুনির্দিষ্ট সময়ের জন্য প্রদান করে থাকে। আর এক্ষেত্রে যদি কোন রকম ব্যক্তিগত সমস্যা হয়ে থাকে সেটা হবে গ্রাহকের দায়ভার। কিন্তু রাজ্যের চাকরিচ্যুত গুনী শিক্ষক শিক্ষিকারা সরকারি নির্দেশিকা মানতে নারাজ। আমরা ১০,৩২৩ শিক্ষক সংগঠন সহ আরো দুটি সংগঠনের শিক্ষক শিক্ষিকারা যৌথভাবে অভয়নগরস্থিত ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাংকের সম্মুখে গন অবস্থানে বসে। ধর্নায় নেতৃত্ব দেন সংগঠনের কনভেনার ডালিয়া দাস। তিনি জানান, চাকরিচ্যুত শিক্ষক শিক্ষিকারা চাকরিচ্যুত হয়েছেন দীর্ঘ সাত মাস হয়েছে। সরকার যতদিন না পর্যন্ত চাকরীচ্যুত শিক্ষকদের স্থায়ী সমাধানের ব্যবস্থা করছে ততদিন পর্যন্ত ব্যাংক যাতে চাকরীচ্যুত শিক্ষক শিক্ষিকাদের উপর ঋন পরিশোধ করতে চাপ সৃষ্টি না করে তার জন্য একাধিকবার গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান এবং অভয়নগরস্থিত গ্রামীণ ব্যাংকের ম্যানেজারের সাথে দেখা করতে চাইলে আধিকারিকরা দেখা করেননি।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে এই ধর্না বলে জানান তিনি। পরে গ্রামীণ ব্যাংকের জেনারেল ম্যানেজার সাতজনের একটি প্রতিনিধি দলকে ডেকে তাদের সমস্যার কথা শুনে জানান যতদিন না পর্যন্ত স্থায়ী সমাধান হচ্ছে ততদিন কোন রকম নোটিশ পাঠানো হবে না চাকরিচ্যুতদের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বাড়িতে। পাশাপাশি আরও জানান যতদিন না স্থায়ী সমাধান হচ্ছে ততদিন ব্যাংকের লোনের সুদ সমেত কিস্তির টাকা স্থগিত রাখতে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করা হবে বলে আশ্বস্ত করেন। ডেপুটেশনে পর এই কথা জানান আমরা ১০,৩২৩ শিক্ষক সংগঠনের কনভেনার ডালিয়া দাস। প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন কমল দেব, বিজয় সাহা, অজয় দেববর্মা প্রমুখ।