স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ২৯ অক্টোবর।। ধন দেবী লক্ষ্মীর আরাধনায় কোন ত্রুটি হোক চাইছেন না গৃহকর্তী-রা। তাই, আজ সন্ধ্যা থেকেই বাজারে কেনাকাটায় ধুম পড়েছে। ব্যবসায়ীদের মুখেও হাসি ফুটেছে। তবে, জিনিসপত্রের দাম-র চ্যাকা-য় হাত পুড়ছে মধ্যবিত্তের। তবুও, সাধ্যের মধ্যে থেকেই আগামীকাল মা লক্ষ্মীর পূজায় মাতবেন ত্রিপুরাবাসী।বাজারে গিয়ে ক্রেতাদের ভিড় দেখে মনে হওয়ার কোন সুযোগ করোনা-র প্রকোপ এখনো শেষ হয়নি। তবে, যথেষ্ট সুরক্ষা অবলম্বন করেই ক্রেতা-রা বাজারে ভিড় করছেন।
বিক্রেতাদেরও প্রত্যেককেই মাস্ক ব্যবহার করতে দেখা গেছে। জনৈক ক্রেতা জানিয়েছেন, বাজারে মূর্তির দাম অন্যান্য বছরের তুলনায় বেশি। খুবই ছোট আকারের মূর্তি ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সামান্য বড় মূর্তি কিনতে গেলেই ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা পর্যন্ত দিতে হচ্ছে। মূর্তি বিক্রেতাদের বক্তব্য, এ-বছর করোনা–র প্রকোপে সব জিনিসের দাম বেড়ে গেছে। রং-র দাম অস্বাভাবিক বেড়েছে। ফলে, কম দামে মূর্তি বিক্রি করা সম্ভব হচ্ছে না।একই অবস্থা ফল এবং সবজি-তেও। আজ বাজারে ফুলকপি ১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।
আলু ৫০ টাকা এবং পেঁয়াজ কিনতে লেগেছে কেজি প্রতি ৭০ টাকা। তেমনি, মোসাম্বি জোড়া ৪০ টাকা, আপেল ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই ক্রেতাদের মাথায় বাঁজ পরার উপক্রম। অগ্নিমূল্যের বাজারে মা লক্ষ্মী-কে সন্তুষ্ট করার উপায় খুঁজতে গিয়েই কালঘাম ছুটছে সকলের। তবুও, আগামীকাল উৎসবের মেজাজেই মা লক্ষ্মীর আরাধনায় মগ্ন হবেন ত্রিপুরাবাসী।