অনলাইন ডেস্ক, ২৭ অক্টোবর।।উন্নয়নের পথে সবচেয়ে বড় বাধা হল দুর্নীতি। স্বচ্ছ ও দায়বদ্ধ প্রশাসন গড়ার ক্ষেত্রে দুর্নীতি হল প্রধান অন্তরায়। মঙ্গলবার ন্যাশনাল কনফারেন্স অন ভিজিলান্স অ্যান্ড অ্যান্টি কোরাপশন মঞ্চ থেকে এই মন্তব্য করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। করোনাজনিত কারণে মঙ্গলবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বক্তব্য পেশ করেন প্রধানমন্ত্রী।
মোদি তাঁর ভাষণে বলেন, দুর্নীতির শিকড় উপড়ে ফেলা খুবই প্রয়োজন। প্রশাসনিক স্তরে স্বচ্ছতার পথে সবথেকে বড় বাধা দুর্নীতি। একই সঙ্গে উন্নতির পথেও পাহাড় হয়ে দাঁড়িয়েছে দুর্নীতি। দুর্নীতি রুখতে তাঁর সরকার আপোষহীন মনোভাব নিয়ে কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন, ২০১৪-য় তাঁর সরকার গঠিত হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি, শ্রম ও প্রশাসনিক ক্ষেত্রে দুর্নীতি দমনের কাজ অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে।
আগামী দিনে দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য প্রশাসনিক ব্যবস্থাকে আরও দূর্নীতিমুক্ত করে স্বচ্ছ ও দায়বদ্ধ করে তুলতে হবে। প্রধানমন্ত্রী এ দিন জানান, সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানোর ফলে বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা গরিব মানুষের কাছে পুরোপুরি পৌঁছে যাচ্ছে। এখন আর মাঝপথ থেকে কেউ গরিব মানুষের টাকা হাতাতে পাচ্ছে না। তাঁর সরকারের কাজের ফলেই দেশ আজ কেলেঙ্কারির এক অধ্যায় পেরিয়ে এসেছে। এদিন অন্য এক অনুষ্ঠানে হকারদের পাশে দাঁড়ান প্রধানমন্ত্রী। করোনাজনিত কারণে বহু হকার তাঁদের কাজ হারিয়েছেন।
ফলে ওই সমস্ত হকারদের পরিবার চরম দূর্দশার মুখে পড়েছে। ওই সমস্ত বেকার হয়ে যাওয়া হকারদের সাহায্য করতে এদিন প্রধানমন্ত্রী তাঁদের প্রত্যেকের হাতে ১০ হাজার টাকার ঋণ তুলে দেন। এদিন প্রায় ৩ লক্ষ হকারের হাতে ১০ হাজার টাকার চেক দিয়েছেন মোদি।এই প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে ‘স্বনিধি’ প্রকল্প। এই প্রকল্পে ঋণ পেতে এখনও পর্যন্ত প্রায় ২৪ লক্ষ মানুষ আবেদন করেছেন বলে জানা গিয়েছে। সর্বাধিক আবেদন এসেছে উত্তরপ্রদেশ থেকে। ২৪ লক্ষ আবেদনকারীর মধ্যে ইতিমধ্যেই ১২ লক্ষ হকারের ঋণের আবেদন মঞ্জুর করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে জানানো হয়েছে, আপাতত ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ নিলেও সঠিক সময়ে যদি কেউ তা পরিশোধ করে দেয় তাহলে তার জন্য থাকবে বিশেষ ইন্সেন্টিভের ব্যবস্থা। এছাড়াও ডিজিটাল লেনদেন করলে থাকবে বিশেষ পুরস্কার। সঠিক সময়ে ঋণ পরিশোধ করা হলে সুদের উপর বেশ কিছুটা ছাড় পাবেন ঋণগ্রহীতা। ঋণ পরিশোধের পর পরবর্তীকালে এই প্রকল্পে আবার ঋণ নিলে আগের থেকে বেশি অর্থ পাওয়া যাবে বলেও সরকার জানিয়ে দিয়েছে।