স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ২৮ অক্টোবর।। বাংলায় শারদীয়া দুগোৎসবের ঠিক চার দিন পর আশ্বিন মাসের শেষে পূর্ণিমাতিথিতে কোজাগরী লক্ষ্মী পূজোর আরাধনা করা হয়। কিন্ত এ বছর আশ্বিন মাস মল মাস পড়ে যাওয়া এ বছর লক্ষ্মী পূজা আসছে ১৩ ও ১৪ কার্ত্তিক শুক্রবার ও শনিবার দুইদিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হবে। হিন্দু শাস্ত্র মতে, লক্ষ্মী হলেন ধন সম্পদের দেবী। ধন সম্পদের আশায় এবং সংসারের মঙ্গল কামানায় বাঙালী হিন্দুদের ঘরে ঘরে কোজাগরী লক্ষ্মী পূজো হয়ে থাকে। অনেকেই সারা বছর প্রতি বৃহস্পতিবার লক্ষ্মী পূজো করে থাকেন।
লক্ষণীয় বিষয় হল খারিফ শস্য ও রবি শস্য ঠিক যে সময় হয় ঠিক সেই সময় বাঙালী হিন্দু মেতে ওঠে লক্ষ্মীর আরাধনায়। তবে পূজোর উপাচারে পরিবর্তন হয় মাস ভেদে। ধান, চাল, অন্ন, খাদ্য শস্য হলো লক্ষ্মী দেবীর প্রতীক। তাই যারা খাদ্য অপচয় করেন, তাঁদের ওপর দেবী লক্ষ্মী কখনোই তুষ্ট হন না বলে মনে করেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। ধানক্ষেতের আশেপাশে ইঁদুর বা মূষিকের বাস এবং এরা ধানের ক্ষতি করে থাকে। পেঁচক বা পেঁচার আহার হল এই ইঁদুর। প্রচীন রীতিমতো গোলাঘরকে লক্ষ্মীর প্রতীক বলা হয়।
কোজাগরী লক্ষ্মীপূজা হিন্দু বাঙালীদের একটি বার্ষিক জনপ্রিয় উৎসব। নারী ও পুরুষ সকলেই এই পুজোয় অংশগ্রহণ করে থাকে। এই দিন সকলে সন্ধ্যায় নতুন কাপড় পড়ে দেবী লক্ষ্মীর পূজা করে। মহিলারা লক্ষ্মীর পাঁচালী পড়ে লক্ষ্মীদেবীর আরাধনা করে এবং সারারাত জেগে লক্ষ্মীদেবীর পুজো করে থাকে।