স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ২৮ অক্টোবর।। রাজ্যে মহিলা সংগীত শিল্পীকে শ্লীলতাহানির ঘটনায় প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। পুলিশ ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত মূল অভিযুক্ত যুবককে আটক করেছে। দশমীর রাতে নিশ্চিন্তপুর সীমান্ত এলাকায় ওই সংগীত শিল্পীর শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটেছিল। ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ায় প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। আমতলি থানার পুলিশ নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতীয় ফৌজদারি দণ্ডবিধির ৩৫৪-এ(ii), ৩৫৪-বি এবং ৩৪ ধারায় মামলা রুজু করেছে। এবিষয়ে আমতলি থানার পুলিশ জানিয়েছে, অশ্বিনী মার্কেট বিদ্যাসাগর পল্লি এলাকার বাসিন্দা মহিলা সংগীত শিল্পীর শ্লীলতাহানির ঘটনায় মূল অভিযুক্ত একই এলাকার বাসিন্দা সঞ্জিত বর্মণকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আগামীকাল তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে। পুলিশের বক্তব্য, ওই ঘটনায় নির্যাতিতা অভিযোগ জানাতে সম্মত ছিলেন না। তাকে অনেক বোঝানোর পর তিনি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা নথিভুক্ত করে সঞ্জিত বর্মণকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, দশমীর রাতে নিশ্চিন্তপুরের কাছাকাছি ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় তাঁর সাথে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছিল। প্রকৃত ঘটনা সম্পর্কে তদন্ত করা হচ্ছে। কী ঘটেছিল তা তদন্তেই বেরিয়ে আসবে।প্রসঙ্গত, রাতের বেলায় এক যুবতী এবং এক যুবককে কয়েকজন যুবক ঘেরাও করে অশালীন আচরণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে ওই যুবতী তার সাথে যুবককে অপ্রীতিকর পরিস্থিতির জন্য দোষারোপ করতেও শুনা গেছে। বেশ কয়েকজন যুবক মিলে রাতের বেলায় এক যুবতী ও তার সঙ্গী যুবককে চরম হেনস্তার ভিডিও ভাইরাল হতেই ত্রিপুরায় প্রতিবাদের ঝড় উঠে। ওই নির্যাতিতা যুবতী একজন সংগীত শিল্পী বলে পরিচিতি মিলেছে।
তাঁর বাবাও বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিল্পী মহল থেকে শুরু করে সাধারণ জনগণ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিবাদে ফেটে পড়েছেন। দোষীর গ্রেফতার এবং চরম শাস্তির দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন সবাই। একাংশ শিল্পীগোষ্ঠী আজ পশ্চিম জেলা পুলিশ সুপারের কাছে ওই ঘটনার বিচার চেয়ে ডেপুটেশন প্রদান করেছেন। এদিকে জনৈক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, এত রাতে নির্জন এলাকায় ওই যুবতী কেন গিয়েছিলেন তা-ও তদন্ত করে দেখা হবে। পাশাপাশি, তদন্তের স্বার্থে ভাইরাল হওয়া ভিডিও পুঙ্খনাপুঙ্খভাবে খতিয়ে দেখা হবে, জানান তিনি।